টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে গাড়ি ছিনতাই, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
Published: 25th, March 2025 GMT
টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে ছিনতাই করা টয়োটার হ্যারিয়ার মডেলের গাড়ি উদ্ধারের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’ নামের একটি হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তার নাম আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম (৩৬)। তার কাছ থেকে ওই গাড়ি, একটি ম্যাগজিনসহ পাঁচটি গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৮৫ লাখ টাকা।
গাড়ি উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। তিনি একজন পেশাদার অপরাধী। এর আগে ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি গাড়ি ছিনতাইয়ের পর গাড়ির মালিককে গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গাড়ি ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরীবাগ গার্ডেন টাওয়ারে অবস্থিত হইল ডিলস্ (বারভিডা-১৭৯১) নামের একটি গাড়ির শোরুমের স্বত্বাধিকারী মাশরুর নাঈর (২৯) জাপানি গাড়ির একজন আমদানিকারক ও বিতরণকারী। ৭ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মাশরুর নাঈরকে ফোন করে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি কেনার কথা বলেন। মাশরুর নাঈর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে তাঁর বাসার গ্যারেজে গাড়ি দেখার জন্য আসতে বলেন। পরদিন (৮ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটার পর ওই ব্যক্তি বাসার গ্যারেজে আসেন। গ্যারেজের বাইরে আরও দুজন অবস্থান করেন। পরে একটি টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার জন্য মাশরুর নাঈরের চাচাতো ভাই পিয়াল মাহমুদকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজন ব্যক্তি গাড়িতে ওঠেন। গাড়িটি চালিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রাত সোয়া আটটার দিকে শাহবাগের মেট্রোস্টেশনে আসেন। তখন গাড়িটি থামিয়ে তাঁদের একজন পিয়াল মাহমুদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় গাড়ির মালিক মাশরুর নাঈরের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় ৯ মার্চ মামলা হয়। মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাচেলর পয়েন্টের ‘পলি চেয়ারম্যান’ খ্যাত গুলশান আরা মারা গেছেন
নাটক ও সিনেমার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে তার।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছন পরিচালক এম রাহিম। তিনি জানান, শ্রদ্ধেয় শুলশান আরা আহমেদ আজ আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন। জংলি আপনার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। আপনি আজীবন আমাদের পরিবারেরই একজন হয়ে থাকবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক কাজল আরেফিন অমি। পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমাদের গুলশান আরা আহমেদ আপা আপা আজ সকাল ৬:৪০-এ ইন্তেকাল করেছেন।’
অমি আরও লিখেছেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্টে উনি কাবিলার আম্মা, নোয়াখালীর চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আপনাকে আমরা মিস করবো আপা। আল্লাহ পাক ওনাকে জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে, জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। আমিন।’
জানা গেছে, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন অভিনেত্রী। দ্রুতই লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। গুলশান আরা আহমেদের ফেসবুক আইডি থেকে মাঝরাতে লেখা হয়, ‘আমার আম্মু গুলশান আরা আহমেদ আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিউরের জন্য। আপনার সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’
পরে শোনা যায় মৃত্যুর খবর, অর্থাৎ লাইফ সাপোর্ট থেকে আর ফেরানো যায়নি তাকে। ভোরে তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিনেত্রীকে দাফন করা হবে। অভিনেত্রীর বোনের ছেলে অভিনেতা আর এ রাহুল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন অভিনেত্রী। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
গুলশান আরা ২০০২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু করেন। তবে নিজেকে একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছা থেকেই গুলশান আরা প্রথম অভিনয় করেন প্রয়াত এনায়েত করিম পরিচালিত ‘কদম আলী মাস্তান’ চলচ্চিত্রে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘চরিত্র’, ‘ডনগিরি’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘পোড়ামন’ এর মতো জনপ্রিয় সব ছবি।