কক্সবাজারে গাড়ি থামিয়ে মসজিদের ইমামকে অপহরণ, পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
Published: 25th, March 2025 GMT
কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার জঙ্গলবেষ্টিত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে একটি মসজিদের ইমামকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে সড়কের হিমছড়ি ঢালা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান(৪২)। তিনি রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জঙ্গলকাটা মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বড়বিল ইবতেদায়ি নুরানি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছেন।
অপহরণের শিকার মিজানুর রহমানের ভাই আবু তাহের জানান, তাঁর ভাইকে অপহরণের পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। আজ বিকেল পর্যন্ত পুলিশ মিজানকে উদ্ধার করতে পারেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল আটটার দিকে ঈদগড় থেকে ঈদগাঁও বাজারে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠেন মিজানুর রহমান। তাঁদের সঙ্গে আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। সড়কে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অটোরিকশা আটকে ১০-১৫ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত যাত্রীদের মালামাল লুট করে। এরপর তারা মিজানুর রহমানকে ধরে অস্ত্রের মুখে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী জানান, বনদস্যুদের সবার হাতে দেশি অস্ত্র ছিল। কয়েকজন কথা বলছিলেন কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায়। দলের কয়েকজনকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ হয়েছে তাঁর।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঈদগাঁও থেকে ঈদগড় বাজার যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা স্থানীয় ব্যবসায়ী জাগের হোছাইনকে অপহরণ করে। এক দিন পর ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিনি মুক্তি পান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন অপহরণ র
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।
তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”
মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক