ব্যাট-বল হাতে নিয়ে পুরোদস্তুর ক্রিকেটার হয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারা। তারকাদের নিয়ে ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (সিসিটি)’-এর আয়োজন করা হয়েছে। তারকাদের নিয়ে প্রফেশনাল ক্রিকেটের আদলে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যেখানে মেনে চলা হবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটর সকল নিয়মকানুন। 

সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান এসএস স্পোর্টস। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্ল্যাডিয়েটর্স, কিংস, ওয়ারিয়র্স, স্পারটান্স নামে চারটি দল ঘোষণা করা হয়। ওয়ালটন কেবল প্রেজেন্টস সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (সিসিটি) হারল্যান, স্বপ্নধরা, গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপসহ অন্যান্যরা টিম পার্টিসিপেন্টস হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। ক্রীড়া ইভেন্টটির পাওয়ার্ড বাই স্পনসর আকিজ এয়ার, জার্সি স্পনসর জেভিকো ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ইভেন্ট পার্টনার এইস।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমিন খান, ইফরান সাজ্জাদ, রাশেদ সীমান্ত, রাফসান সাবাব, সাঞ্জু জন। এছাড়াও টি-স্পোর্টস, আয়োজক প্রতিষ্ঠান এবং স্পন্সর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৪ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (সিসিটি) নামের এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। দিবারাত্রির ম্যাচগুলো ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭টি। অন্যদিকে, ২ টি প্র্যাকটিস ম্যাচ থাকবে। তারকাদের এই প্রফেশনাল ক্রীড়া ইভেন্টটি সম্প্রচার করবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ডেটলাইনের মধ্যে সংস্কার ও বিচার করে নির্বাচন দেন: জামায়াতের সেক্রেটারি

অন্তর্বর্তী সরকারের ডেটলাইনের মধ্যে সব সংস্কার এবং শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিচার দৃশ্যমান করে নির্বাচন হতে হবে। আর সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রহমত ও বরকতের বাংলাদেশ চাই। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা স্থানান্তরের একটি ডেটলাইন দিয়েছে। এর মধ্যেই সব সংস্কার করে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করে নির্বাচন দেন। আমরা সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে অনেকে ভুল বোঝার চেষ্টা করে, কিন্তু জামায়াতের আমির গতকালও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।’

কুমিল্লার লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ শুক্রবার কর্মিসম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াত আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শেষে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার চারটি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর মধ্যে কুমিল্লা-৮ আসনে শফিকুল আলম (হেলাল), কুমিল্লা-৯ আসনে এ কে এম সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা-১০ আসনে ইয়াছিন আরাফাত এবং কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের জুন এবং ২৫-এর ডিসেম্বর দুটি ডেটলাইন দিয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, যে ডেটলাইন দিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে ১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে এ দেশের মানুষ আর কখনোই এমন নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার জন্য পুলিশে সংস্কার, সংবিধানের সংস্কার, প্রশাসনের সংস্কারসহ সব সংস্কার ন্যূনতমভাবে শেষ করতে হবে। হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা যাঁরা দেশকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বিচার হতে হবে। বিচার দৃশ্যমান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে এবং আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ হবে পূর্ণ স্বাধীন, জনগণের অধিকার থাকবে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, ইনসাফপূর্ণ অর্থনীতি হবে, এ দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হবে না। গত ১৬ বছর আমাদের ভোটাধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না, আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। ১৭ বছর একটি কালো অধ্যায় পার করেছি আমরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে জণগণকে তাঁদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রব, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির মু. শাহজাহান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি এ কে এম সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আবদুল মমিন, মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, লাকসাম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির জহিরুল ইসলাম, কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১–এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মুহাম্মদ বদিউল আলম (সুজন)।

লাকসাম পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমির মু. জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লাকসাম পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মু.শহিদ উল্যাহ ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মু. জোবায়ের ফয়সাল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ