বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) যুগ্ম-সদস্য সচিব হাফিজুর রহমানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাগছাসের যুগ্ম-সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন প্রেরিত এক বার্তায় এ দাবি জানানো হয়েছে। 

বার্তায় বলা হয়েছে, হাতিয়ায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্য সচিব হাফিজুর রহমানের ওপর দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হাফিজের ওপর করা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলার সংস্কৃতি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আর দেখতে চায় না।

বার্তায় আরো বলা হয়েছে, আমরা মনে করি, রাজনীতি হবে জনগণের কল্যাণে, গণমানুষের জন্য। জনগণই যেন তাদের নেতা তৈরি করতে পারে, এই সংস্কৃতিকে আমরা স্বাগত জানাই। ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলা ইত্যাদি ঘটনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা।

বার্তায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্যদের উপর সশস্ত্র হামলায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুস্থতা কামনা এবং এ হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ গণত ন ত র ক ছ ত র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার

ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।

সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।

এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’

অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ