পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ছেলে ডাক পেলেন নিউজিল্যান্ড দলে
Published: 25th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা। ২৯ মার্চ শুরু হওয়া সিরিজের ওই দলে ডাক পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী বা-হাঁতি পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ আর্সলান আব্বাস। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার। শুধু তাই নয় তার বাবা একজন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
মোহাম্মদ আব্বাসের বাবার নাম আজহার আব্বাস। তিনি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। ৪৫টি প্রথম শ্রেণির, ২২টি লিস্ট ‘এ’ এবং ৭টি টি-২০ খেলেছেন আজহার। ওয়েলিংটনের কারোরি ক্রিকেট ক্লাবে কোচিং শুরু করেন তিনি। সেখানেই হাতে খড়ি হয় ছেলে মোহাম্মদ আব্বাসের।
আব্বাসের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দলে আছেন ৩১ বছর বয়সী ওপেনার নিক কেলি। তিনি ঘরোয়া মৌসুমে ১৩শ’ রান করায় প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। সব ঠিক থাকলে অভিষেক ম্যাচও খেলবেন এই ব্যাটার।
এছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল কিউই লেগ স্পিনার আদি অশোকের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারও আছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। নিউজিল্যান্ডের ১৩ জনের দলে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলা দলের ৮ ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দল: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আব্বাস, আদি অশোক, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, জ্যাকব ডাফি, মিটচি হে, নিক কেলি, ড্যারেল মিশেল, উইল ও’রর্কি, বেন সিয়ার্স, নাথান স্মিথ, উইল ইয়ং।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার
ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।
সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।
এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’
অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।