ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমার মোশন পোস্টার, চরিত্রের লুক, টিজার, গান প্রকাশ পেয়েছিল আগেই। কিন্তু ছবিটির মুক্তি ঘিরে হঠাৎই তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিছু দৃশ্যের বিষয়ে আপত্তি থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ফেরত আসে ছবিটি। দৃশ্যগুলো সম্পাদনা করে আজ মঙ্গলবার পুনরায় ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে। অবশেষে মুক্তির অনুমতি পেলো ছবিটি।

চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য কাজী নওশাবা সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে আমরা পুনরায় সিনেমাটি দেখে সার্টিফিকেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছবিটি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে।’

সিনেমায় আপত্তি থাকা দৃশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সিনেমার জন্য কিছু না কিছু সংশোধনী থাকে। এটার ক্ষেত্রেও সেটা ছিল। তবে আমার এমন কিছু দৃশ্য বাদ দেইনি যা সিনেমাটির জন্য ক্ষতি হয়। আমার সৃজনশীলতার দিকে বেশি নজর দিয়ে কিছু দৃশ্য সংশোধনী দিয়েছি। তারা সেটা করেছেন।’

এদিকে ‘বরবাদ’ সিনেমার আনকাট ছাড়পত্রের জন্য চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সামনে সকাল থেকেই অবস্থান নেন শাকিব খানের কিছু ভক্ত। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে তাঁদের দেখা গেছে।

‘বরবাদ’ ছবিটির পরিচালক মেহেদী হাসান। ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়েছেন ইধিকা পাল। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, ইন্তেখাব দিনার, ভারতের যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ। ছবির একটি গানে পারফর্ম করেছেন নুসরাত জাহান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন র জন য বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

তারা কি ফিরিবে আর...

‘যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষালোভী
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি’
গানের এই চরণগুলো ভেসে আসছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে। এই গান শুনে মনে প্রশ্ন জাগে, মোহিনী চৌধুরীর কথাগুলো আজ কেন শহীদ মিনারে।

একটু এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ কালরাতের শহীদদের স্মরণে গান গাইছেন একদল শিল্পী। গানটি শেষ হতে না হতেই আবারও তাঁরা গেয়ে উঠলেন—
‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল’
সে সময় তাঁদের চেহারায় মোমবাতির আভা। সেই চেহারায় ফুটে উঠছে নানা দাবি। গোবিন্দ হালদারের গানের কথায় যেন সেই দাবিগুলোই তুলে ধরছিলেন—
‘আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল’

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ভুলি নাই ভুলি নাই মৃত্যুমিছিল: জেনোসাইড একাত্তর দায়বদ্ধতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে এভাবেই সব প্রজন্মের কাছে একাত্তরের গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরেন শিল্পীরা। স্মরণ করেছেন কালরাতের শহীদদের।

মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদ স্মরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মোমবাতি প্রজ্বালনের আগে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে আজকের এই আয়োজন করেছি। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ কালরাতের নির্মম গণহত্যা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি লাভের দাবি জানাচ্ছি।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ