জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীতে হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.

শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন—হেলাল আকবর চৌধুরী, নুরুল আজিম রনি, শৈবাল দাশ সুমন, আবু ছালেক, মো. এসরারুল হক, এইচ এম মিঠু, নূর মোস্তফা, দেবাশীষ পাল, মো. জমির উদ্দিন, মো. আজিজুর রহমান, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. মহিউদ্দিন ফরহাদ ও সুমন দে। প্রসিকিউশন বলছে, এই আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ জনের বাইরে এই মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।

এ ছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতিমধ্যে কারাগারে আছেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল।

আজকের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ছবি ও ভিডিও দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হলো।

পরে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, তার সিংহভাগে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা। ভিডিও ফুটেজ, লাইভ ফুটেজ, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া ১৫ আসামিকে চিহ্নিত করেছে তদন্ত সংস্থা।

ট্রাইব্যুনালে আজকের শুনানিতে আরও অংশ নেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম সিটির সাবেক দুই মেয়রসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীতে হত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন—হেলাল আকবর চৌধুরী, নুরুল আজিম রনি, শৈবাল দাশ সুমন, আবু ছালেক, মো. এসরারুল হক, এইচ এম মিঠু, নূর মোস্তফা, দেবাশীষ পাল, মো. জমির উদ্দিন, মো. আজিজুর রহমান, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. মহিউদ্দিন ফরহাদ ও সুমন দে। প্রসিকিউশন বলছে, এই আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ জনের বাইরে এই মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।

এ ছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতিমধ্যে কারাগারে আছেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল।

আজকের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ছবি ও ভিডিও দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হলো।

পরে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, তার সিংহভাগে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা। ভিডিও ফুটেজ, লাইভ ফুটেজ, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া ১৫ আসামিকে চিহ্নিত করেছে তদন্ত সংস্থা।

ট্রাইব্যুনালে আজকের শুনানিতে আরও অংশ নেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ