কিছু দৃশ্যে আপত্তি, কাটছাঁট করে মুক্তির অনুমতি পেল ‘বরবাদ’
Published: 25th, March 2025 GMT
ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমার মোশন পোস্টার, চরিত্রের লুক, টিজার, গান প্রকাশ পেয়েছিল আগেই। কিন্তু ছবিটির মুক্তি ঘিরে হঠাৎই তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিছু দৃশ্যের বিষয়ে আপত্তি থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ফেরত আসে ছবিটি। দৃশ্যগুলো সম্পাদনা করে আজ মঙ্গলবার পুনরায় ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে। অবশেষে মুক্তির অনুমতি পেলো ছবিটি।
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য কাজী নওশাবা সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুপুরে আমরা পুনরায় সিনেমাটি দেখে সার্টিফিকেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ছবিটি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে।’
সিনেমায় আপত্তি থাকা দৃশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সিনেমার জন্য কিছু না কিছু সংশোধনী থাকে। এটার ক্ষেত্রেও সেটা ছিল। তবে আমার এমন কিছু দৃশ্য বাদ দেইনি যা সিনেমাটির জন্য ক্ষতি হয়। আমার সৃজনলীলতার দিকে বেশি নজর দিয়ে কিছু দৃশ্য সংশোধনী দিয়েছি। তারা সেটা করেছেন।’
এদিকে ‘বরবাদ’ সিনেমার আনকাট ছাড়পত্রের জন্য চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সামনে সকাল থেকেই অবস্থান নেন শাকিব খানের কিছু ভক্ত। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে তাঁদের দেখা গেছে।
‘বরবাদ’ ছবিটির পরিচালক মেহেদী হাসান। ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়েছেন ইধিকা পাল। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, ইন্তেখাব দিনার, ভারতের যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ। ছবির একটি গানে পারফর্ম করেছেন নুসরাত জাহান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন র জন য বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার
ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।
সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।
এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’
অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।