অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনা ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভুল করে একটি ম্যাসেজিং গ্রুপে সম্প্রচারের ঘটনায় ডেমোক্রেটদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ও আইনের লঙ্ঘন অভিহিত করে এর তদন্ত কংগ্রেসের মাধ্যমে হতে হবে বলে দাবি করেছেন।

ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভুল করে একটি ম্যাসেজিং গ্রুপে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রকাশ করেস। ওই গ্রুপটিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আটলান্টিক এ নিয়ে একটি বর্ণনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ  করার পর হোয়াইট হাউজ ঘটনা স্বীকার করে।

সোমবার হোয়াইট হাউজ জানায়, ইয়েমেনের হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটনাটি ঘটে।

সিনেটে ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার বলেছেন,  “দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আমি যে সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক লঙ্ঘনের কথা পড়েছি তার মধ্যে এটি একটি।”

“এটি কীভাবে ঘটেছে, এর ফলে কী ক্ষতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে এটি এড়াতে পারি তার পূর্ণ তদন্ত” করতে রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান রো খান্না গার্ডিয়ানকে বলেন, “এটি আমাদেরকে প্রতিপক্ষের কাছে দুর্বল করে তুলেছে। আমাদের সাইবার নিরাপত্তাকে আরো গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।”

হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট জিম হাইমস বলেছেন, “যদি সত্য হয়, তাহলে এই পদক্ষেপগুলো জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার নির্লজ্জ লঙ্ঘন, যার মধ্যে ক্ষতিকারক উপায়ে সেবা প্রদানকারী আমেরিকানদের নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত।”

সিনেট গোয়েন্দা কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, “এই প্রশাসন আমাদের দেশের সবচেয়ে গোপন তথ্য নিয়ে দ্রুত এবং বেপরোয়াভাবে খেলছে, এবং এটি সব আমেরিকানকে কম নিরাপদ করে তুলছে।”

হাউস ডেমোক্রেটিক সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস “এই অগ্রহণযোগ্য এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে বাস্তব তদন্ত” করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ