আইপিলের শুরুতেই দ্বন্দ্ব লক্ষ্ণৌ শিবিরে
Published: 25th, March 2025 GMT
সোমবার (২৪ মার্চ) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২০৯ রান করেও জিততে পারেনি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ১৪ ওভারে ১৬১ রান করে ফেলার পরও ২০৯ রানে থেমে যায় ঋষভ পন্থেদের ইনিংস। পরে ৬৫ রানে ৫ উইকেয়াট হারানোর পরও দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারতে হয় আশুতোষ শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে।
লক্ষ্ণৌর হারের পর মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা মাঠে নেমে আসেন। এরপর তিনি কথা বলেন অধিনায়ক পন্থের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় দুজনের কাউকেই খুব বেশি হেসে কথা বলতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভিন্ন কথা বললেন পন্থ ও দলটির সহকারী কোচ লান্স ক্লুজনার। কাপ্তান মনে করেন দল যথেষ্ট রান করেছিল, যা মানতে চাইলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
আশুতোষের ৩১ বলে ৬৬ রান করে দিল্লিকে জিতিয়ে দেন। হারের পর লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক পন্থ বলেন, “আমাদের ব্যাটারেরা ভাল খেলেছে। এই উইকেটের জন্য যথেষ্ট রান তুলেছিল তারা।” এখানেই দ্বিমত পোষণ করেন ক্লুজনার, “হারের কারণ হিসেবে যদি কিছু বলতে হয়, তা হলে বলব ২০-৩০ রান কম করেছি আমরা। যে কারণে হয়তো আমাদের বোলারেরা চাপে পড়ে গিয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
আশুতোষের ব্যাটে চড়ে দিল্লির অসাধারণ জয়
ঈশানের মেইডেন সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের দুর্দান্ত জয়
তবে দিল্লির প্রশংসাও করেছেন ক্লুজনার, “দিল্লি খুব ভাল ব্যাট করেছে। ওরা জয়ের কথা ভাবতে পেরেছে, কারণ আমরা যথেষ্ট রান করিনি। খুব ভাল উইকেট ছিল। বল স্পিন করছিল। সকলের জন্য কিছু না কিছু ছিল এই পিচে।”
আসর শুরু হতে না হতেই লক্ষ্ণৌ শিবিরের দ্বন্দ্ব চোখে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এমন অবস্থায় এই মৌসুমে দলটা কতটা নিজেদের মেলে ধরতে পারে সেটা দেখার বিষয়।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কিত ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের তথ্য নাকচ করে বলেছে, সংবাদমাধ্যমটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার আইএসপিআরের এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে যে ইন্ডিয়া টুডে আবারও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠিত একটি নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
এতে বলা হয়েছে, আজ (২৫ মার্চ ২০২৫) প্রকাশিত ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি অপসাংবাদিকতার চর্চা এবং একসময়ের খ্যাতিমান সংবাদমাধ্যমটির বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে পতিত হওয়ার একটি উজ্জ্বল নজির।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা যাচাইযোগ্য প্রমাণবিহীন এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এতে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ‘আসন্ন অভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে’ বারবার দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ‘২০২৫ সালের ১১ মার্চ আমরা এক প্রতিবাদলিপিতে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ভুল প্রতিবেদনের বিষয় উন্মোচন ও খণ্ডন করেছি।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদকীয় নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়, যা সত্য প্রচারের পরিবর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টির দিকে ধাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেবায় এবং গণতন্ত্র ও শান্তি রক্ষার নীতি সমুন্নত রাখার জন্য তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ ও অবিশ্বাস তৈরি করে এমন ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’