সোমবার (২৪ মার্চ) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২০৯ রান করেও জিততে পারেনি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ১৪ ওভারে ১৬১ রান করে ফেলার পরও ২০৯ রানে থেমে যায় ঋষভ পন্থেদের ইনিংস। পরে ৬৫ রানে ৫ উইকেয়াট হারানোর পরও দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারতে হয় আশুতোষ শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে।

লক্ষ্ণৌর হারের পর মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা মাঠে নেমে আসেন। এরপর তিনি কথা বলেন অধিনায়ক পন্থের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় দুজনের কাউকেই খুব বেশি হেসে কথা বলতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভিন্ন কথা বললেন পন্থ ও দলটির সহকারী কোচ লান্স ক্লুজনার। কাপ্তান মনে করেন দল যথেষ্ট রান করেছিল, যা মানতে চাইলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।

আশুতোষের ৩১ বলে ৬৬ রান করে দিল্লিকে জিতিয়ে দেন। হারের পর লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক পন্থ বলেন, “আমাদের ব্যাটারেরা ভাল খেলেছে। এই উইকেটের জন্য যথেষ্ট রান তুলেছিল তারা।” এখানেই দ্বিমত পোষণ করেন ক্লুজনার, “হারের কারণ হিসেবে যদি কিছু বলতে হয়, তা হলে বলব ২০-৩০ রান কম করেছি আমরা। যে কারণে হয়তো আমাদের বোলারেরা চাপে পড়ে গিয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

আশুতোষের ব্যাটে চড়ে দিল্লির অসাধারণ জয়

ঈশানের মেইডেন সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের দুর্দান্ত জয়

তবে দিল্লির প্রশংসাও করেছেন ক্লুজনার, “দিল্লি খুব ভাল ব্যাট করেছে। ওরা জয়ের কথা ভাবতে পেরেছে, কারণ আমরা যথেষ্ট রান করিনি। খুব ভাল উইকেট ছিল। বল স্পিন করছিল। সকলের জন্য কিছু না কিছু ছিল এই পিচে।”

আসর শুরু হতে না হতেই লক্ষ্ণৌ শিবিরের দ্বন্দ্ব চোখে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এমন অবস্থায় এই মৌসুমে দলটা কতটা নিজেদের মেলে ধরতে পারে সেটা দেখার বিষয়।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ