Prothomalo:
2025-04-15@10:42:20 GMT

সন্‌জীদা খাতুন আর নেই

Published: 25th, March 2025 GMT

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুন আর নেই। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছায়ানটে অনুষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক রশীদ আল হেলাল।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন।

সন্‌জীদা খাতুনকে জীবনের প্রায় শুরু থেকে দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায়। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন।

শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। মুকুল ফৌজে কাজ করেছেন, আবার ছেড়েও দিয়েছেন। তাঁর প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তাঁর কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান এবং পল্লিগীতি। পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন।

আরও পড়ুনএকজন সন্‌জীদা খাতুন০৪ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্‌জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারির দুপুরে বাসায় ফিরে ছাত্রহত্যার খবর পেয়েছিলেন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সবকিছু বন্ধ, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নানা খোঁজখবর নিয়ে বিকেলে মাকে নিয়ে রওনা দিলেন অভয় দাস লেনের এক বাসার উদ্দেশে মহিলাদের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে। সেই ভয়ের পরিবেশে দূর পথ হেঁটে গেলেন সে বাসার চত্বরে। সেখানে গিয়ে দেখেন বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম দৌলতুন্নেসা, নূরজাহান মুরশিদ প্রমুখ উপস্থিত। কিন্তু সেদিন সে পরিস্থিতিতে কেউ সভার সভাপতি হতে চাননি। শেষ পর্যন্ত সন্‌জীদা আপার মা সাজেদা খাতুনকে সভাপতির আসনে বসিয়ে দিলেন। মা গুটিসুটি হয়ে বসে থাকলেন। অন্যরা বক্তৃতা করলেন। সেদিন সন্‌জীদা খাতুন প্রথম বক্তৃতা করলেন। শুরুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর কথায় ‘দু-এক লাইনের’ বক্তৃতা দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘একুশ আমাকে ভাষা দিয়েছে।’

সন্‌জীদা খাতুন বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আউটসোর্সিং নীতিমালার আওতায় কর্মীদের সুবিধা বাড়াল

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত সেবাকর্মীদের জন্য আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা-২০২৫ জারি হয়েছে। এ নীতিমালায় সরকার সেবাকর্মীদের কাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কয়েকটি সুবিধা প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এ নীতিমালা জারি হয় বলে অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে নববর্ষের উপহার হিসেবে আজ এ নীতিমালা জারি হয়।

এতে আরো বলা হয়, পাঁচটি ক্যাটাগরির সেবা ও তিনটি বিশেষ সেবা জনপ্রতি মাসিক সেবামূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে দুটি ও এক পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে বৈশাখী প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে নববর্ষের উপহার হিসেবে আজ এ নীতিমালা জারি হয়।

এতে আরো বলা হয়, পাঁচটি ক্যাটাগরির সেবা ও তিনটি বিশেষ সেবা জনপ্রতি মাসিক সেবামূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে দুটি ও এক পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে বৈশাখী প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

পাশাপাশি সেবাকর্মীদের বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি ও মৌলিক কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি সেবাকর্মীকে প্রতি বছর দুটি নতুন ইউনিফর্ম প্রদান করা হবে।

নারী সেবাকর্মীরা ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে পেনশন সুবিধা গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় ক্রয়কৃত সেবামূল্য সেবাকর্মীর নিজ নামেও ব্যাংক মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রদেয় হবে।

সর্বোপরি সেবাকর্মীরা তার মাসিক সেবামূল্য কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রদান নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ