আমাজনের মালিক বেজোস কবে বিয়ে করছেন সানচেজকে
Published: 25th, March 2025 GMT
সেই ২০২৩ সালের মে মাসে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন দুজন। তারপর প্রায় দুই বছর হতে চলল। মাঝে বিয়ে করছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা সত্য হয়নি। অবশেষে জানা গেল বাগ্দত্তা লরেন সানচেজের সঙ্গে কবে গাঁটছড়া বাঁধছেন আমাজনের মালিক জেফ বেজোস।
পেজ সিক্সের খবর অনুযায়ী, বেজোস-সানচেজের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। এই গ্রীষ্মে ইতালির ভেনিসে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ এই ধনীর বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন হতে চলেছে। বর বেজোসের বয়স ৬১ বছর, কনে সানচেজের বয়স ৫৫।
সানচেজের সঙ্গে বাগদানের চার বছর আগে ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বেজোসের। বেজোস-ম্যাকেঞ্জি ২৫ বছর সংসার করেছেন।
সানচেজও বিবাহিত ছিলেন। ২০২৩ সালে সাবেক স্বামী প্যাট্রিক হোয়াইটসেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর।
নিজেদের ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বিলাসবহুল ইয়টে এ বছরের জুনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন বেজোস ও সানচেজ।
আরও পড়ুনআমাজনের মালিক জেফ বেজোস কি আবার বিয়ে করছেন২৩ ডিসেম্বর ২০২৪এর আগে শোনা গিয়েছিল, গত বছর ডিসেম্বরে কলোরাডোতে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন হবে। কিন্তু পরে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বেজোস ওই তথ্য মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন।
২০ ক্যারেটের একটি হীরকখচিত আংটি দিয়ে সানচেজকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বেজোস। পরে মার্কিন মাসিক ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানচেজ ওই মুহূর্তের বর্ণনায় বলেছিলেন, এই মুহূর্তে ‘কিছুক্ষণের জন্য চোখে অন্ধকার দেখেছেন’ তিনি।
সংসার ভাঙছে জেফ বেজোসেরসাবেক বিনোদন সাংবাদিক সানচেজ এ বছর বেজোসের হাত ধরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনবিশ্বের দ্বিতীয় ধনীর সঙ্গে প্রেম করছেন, কে এই ভাইরাল বিনোদন সাংবাদিক লরেন সানচেজ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এবার যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কার কথা জানাল ফেডারেল রিজার্ভ সান ফ্রান্সিসকো
সম্প্রতি কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এই বেকারত্ব বৃদ্ধির হার মন্দার আশঙ্কার লক্ষণ, যদিও বিষয়টি তেমন একটা নজরে আসে না। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের এক গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের এই গোপন বিষয় উঠে আসছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে দুটি ঝুঁকি জড়িয়ে আছে; একটি হলো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা, আরেকটি হলো বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা। খবর রয়টার্স।
অতীতে অনেক মন্দার আগে দেখা গেছে, যে মানুষেরা কাজের বাইরে ছিলেন, তাঁদের পক্ষে শ্রমবাজারে ফিরে আসা সময়সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের বেকারত্বের মেয়াদ বেড়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভ সান ফ্রান্সিসকো গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অতীতে বেশ কয়েকবার মন্দার আগে মানুষের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এর অর্থ হলো, এসব লক্ষণ মন্দার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়।
তথ্যে দেখা যায়, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ধীরে ধীরে বেড়েছে; ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ; গত মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ফেডের অনেক নীতিপ্রণেতা মনে করছেন, বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে এখনো কম থাকার অর্থ হলো, শ্রমবাজার শক্তিশালী।
গুরুতর বিষয় হলো, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বেকার মানুষের পক্ষে চাকরি পাওয়ার হার কমছে। এই প্রবণতা অতীতে বিভিন্ন মন্দার সময় দেখা গেছে।
একই সময় দেখা গেছে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বেকারদের বেকারত্বের গড় সময় ৮ সপ্তাহ থেকে বেড়ে ১০ সপ্তাহে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭-০৯ সালের আর্থিক সংকটের সময় বেকারত্বের মেয়াদও ছিল এর সমপরিমাণ। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি বেকারত্ব বৃদ্ধির হার অতীতের তুলনায় কম; এই তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে এখনই সচেতন হওয়া দরকার। এই প্রবণতা মন্দার সম্ভাব্য লক্ষণ বলেই তারা মনে করছে।
এদিকে ৫ এপ্রিল মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে জে পি মরগান। পূর্বাভাস দিতে যেমন বেশি সময় লাগেনি তাদের, তেমনি মন্দা আসতেও বেশি সময় না-ও লাগতে পারে বলে তাদের পূর্বাভাস। চলতি বছরেই মার্কিন অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে বলে তাদের অনুমান।
মন্দা হলে তার সঙ্গে বেকারত্বও বাড়বে বা উল্টোভাবে বললে, বেকারত্ব বাড়বে বলেই মন্দা আসবে। জে পি মরগান সেটাই বলেছে। কোম্পানির প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলি বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) সংকুচিত হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হলে তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়বে। সারা বিশ্বে মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ, জানিয়েছে জে পি মরগান। এর আগে তাদের পূর্বাভাস ছিল, মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ। অবশ্য ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার পর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে জে পি মরগান। অর্থাৎ তখন তারা বলেছে, মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ।