রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তিন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রথমে শ্রম ভবনে যায়।

শ্রম ভবন থেকে শ্রমিকেরা দুপুরের দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়। শ্রমিকদের মিছিলটি প্রেস ক্লাব এলাকায় সচিবালয়মুখী রাস্তায় আসার পর পুলিশ তাদের যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।

এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশ সদস্যরা জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় সচিবালয় এলাকার যেকোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু আন্দোলনরত শ্রমিকেরা সচিবালয়ের ভেতর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তারা কি ফিরিবে আর...

‘যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষালোভী
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি’
গানের এই চরণগুলো ভেসে আসছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে। এই গান শুনে মনে প্রশ্ন জাগে, মোহিনী চৌধুরীর কথাগুলো আজ কেন শহীদ মিনারে।

একটু এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ কালরাতের শহীদদের স্মরণে গান গাইছেন একদল শিল্পী। গানটি শেষ হতে না হতেই আবারও তাঁরা গেয়ে উঠলেন—
‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল’
সে সময় তাঁদের চেহারায় মোমবাতির আভা। সেই চেহারায় ফুটে উঠছে নানা দাবি। গোবিন্দ হালদারের গানের কথায় যেন সেই দাবিগুলোই তুলে ধরছিলেন—
‘আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল’

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ভুলি নাই ভুলি নাই মৃত্যুমিছিল: জেনোসাইড একাত্তর দায়বদ্ধতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে এভাবেই সব প্রজন্মের কাছে একাত্তরের গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরেন শিল্পীরা। স্মরণ করেছেন কালরাতের শহীদদের।

মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদ স্মরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মোমবাতি প্রজ্বালনের আগে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে আজকের এই আয়োজন করেছি। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ কালরাতের নির্মম গণহত্যা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি লাভের দাবি জানাচ্ছি।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ