শাকিবের পাশে বুবলী, নীরব অপু বিশ্বাস
Published: 25th, March 2025 GMT
শাকিব খান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেন সন্তানের বাবা হিসেবে আগের মতোই ভালোবাসা প্রদর্শন করেন অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। বিভিন্ন সংকটে শাকিবের হয়ে সরব হন। তবে এবার ব্যাতিক্রম। ‘বরবাদ’ সিনেমার জটিলতায় বুবলী সরব হলেও নিশ্চুপ অপু।
ঈদে মুক্তি প্রতিক্ষিত ‘বরবাদকে আনকাট ছাড়পত্র দিতে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড আপত্তি জানাতেই সরব হয়েছেন বুবলী। ‘বরবাদ’ নিয়ে জটিলতার অবসান চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
বুবলী আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একটি সিনেমা তৈরির পেছনে অনেক স্বপ্ন থাকে, থাকে প্রযোজক, নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম । সেই স্বপ্ন পূরণ হয় এবং সবার পরিশ্রম সার্থক হয় যখন বড়পর্দায় একটু একটু করে বহুদিন ধরে একরাশ আশা নিয়ে তৈরি করা সিনেমাটা সবাই দেখতে পায়!’
এরপর লেখেন, ‘‘আমরা ঈদের সিনেমা ‘জংলি যেমন দর্শকদের দেখাতে চাই তেমনি ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জ্বীন’, ‘চক্কর’সহ ঈদের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সব সিনেমা চাই দর্শক দেখতে পাক।’’
সবশেষে আশাবাদী বুবলী লিখেছেন, ‘‘আশা করছি ‘বরবাদ’ সিনেমা নিয়ে সকল জটিলতার সুন্দর সমাধান হবে এবং যেভাবে ‘বরবাদ টিম তাদের সিনেমাটি সবাইকে দেখাতে চেয়েছে সেভাবেই দেখতে পাব।’’
বুবলী ছাড়াও বরবাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিয়াম আহমেদ, ইমরান মাহমুদুলসহ অনেকে। কিন্তু এ নিয়ে এক লাইনও লেখেননি শাকিবের প্রাক্তন স্ত্রী অপু।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার
ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।
সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।
এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’
অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।