Risingbd:
2025-04-15@11:10:31 GMT

মা হলেন অ্যামি জ্যাকসন

Published: 25th, March 2025 GMT

মা হলেন অ্যামি জ্যাকসন

মা হলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ভারতীয় অভিনেত্রী অ্যামি জ্যাকসন। পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনেতা এড ওয়েস্টউইকের ও অ্যামি জ্যাকসন দম্পতির এটি প্রথম সন্তান।

ছেলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সুখবরটি জানান অ্যামি জ্যাকসন। ক্যাপশনে লেখেন, “প্রিয় পুত্র, এই পৃথিবীতে তোমাকে স্বাগতম।” এ দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন— অস্কার আলেকজান্ডার ওয়েস্টউইক।

প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, খোলা মাঠে ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অ্যামি জ্যাকসন। তার পাশে রয়েছেন স্বামী এড। তারপর থেকে ভক্ত-সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই তারকা দম্পতি।

আরো পড়ুন:

মা হলেন আথিয়া, নানা সুনীল শেঠি

আইসিইউতে মা, শুটিং ফেলে হাসপাতালে জ্যাকলিন

গত বছরের ২৯ জানুয়ারি দীর্ঘদিনের প্রেমিক এড ওয়েস্টউইকের সঙ্গে বাগদান সারেন অ্যামি জ্যাকসন। ২৪ আগস্ট বিয়ে করেন এই জুটি।

সৌদি আরব রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ব্রিটিশ অভিনেতা এড ওয়েস্টউইকের সঙ্গে প্রথম পরিচয় অ্যামির। মূলত তারপরই সম্পর্কে জড়ান তারা। ২০২২ সালে সম্পর্কের কথা স্বীকার অ্যামি।

সাধারণত দক্ষিণী সিনেমাতেই বেশি অভিনয় করেন অ্যামি জ্যাকসন। বলিউডেও দেখা গেছে তাকে। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেকবার আলোচনায় উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী।

এর আগে জর্জ পানাইয়োতুর সঙ্গে বাগদান সারেন অ্যামি জ্যাকসন। ২০১৯ সালে বিয়ের আগেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন এই নায়িকা। পরবর্তীতে জানা যায়, এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন অ্যামি। অন্যদিকে এড ওয়েস্টউইক আফ্রিকান এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।

অ্যামি জ্যাকসন অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ক্রাক’। গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় এটি। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন বিদ্যুৎ জামাল, অর্জুন রামপাল, নোরা ফাতেহি প্রমুখ। আপাতত তার হাতে আর কোনো সিনেমার কাজ নেই।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ য কসন

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার

শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।

স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।

চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।

তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।

স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।

এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ