অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর সহপরিচালক গ্রেপ্তার
Published: 25th, March 2025 GMT
অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর ফিলিস্তিনি সহপরিচালক হামদান বাল্লালকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তার আগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা তাকে মারধর করেন। খবর আল জাজিরার।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচজন ইহুদি আমেরিকান কর্মী জানিয়েছেন, হেবরনের দক্ষিণে মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার সুসিয়ায় প্রায় ১৫ জন সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীর একটি দল হামদান বাল্লালকে ঘিরে ফেলে এবং তার ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতি স্থাপনকারীরা পাথর ছুঁড়ে হামদানের গাড়ি ভেঙে ফেলে এবং একটি টায়ার কেটে দেয়। গাড়ির সমস্ত জানালা এবং উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তারা। হামলায় হামদান বাল্লাল আহত হন। এরপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারার পর ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। আইডিএফ এবং ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী সংঘর্ষ ছত্রভঙ্গ করতে ঘটনাস্থলে গেলে, বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরে আইডিএফ তাদের ওপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে তিনজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।
সেই সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন ইসরায়েলি বেসামরিক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের ইসরায়েলি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।
এ বছরের ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে জয়ী হয় ‘নো আদার ল্যান্ড’। গাজায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আন্দোলনকর্মী তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন। তাদেরই একজন হামদান।
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘তিনি (হামদান বাল্লাল) অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ইসরায়েলি সেনারা হামদানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এর পর থেকে তার কোনো হদিস নেই।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ মদ ন ব ল ল ল ইসর য় ল র ওপর ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
১৯০ বিঘা খাস জমি দখলে নিতে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় খাস খতিয়ানের ১৯০ বিঘা জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. মদিন মোল্লা (৫৫) উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামের মৃত ছকির মোল্লার ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিন জানা গেছে, বড় ধুনাইল গ্রামের ১৯০ বিঘা খাস খতিয়ানের জমি নিয়ে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হালিম ও জাফরের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শাহজাদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
রোববার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মদিন মোল্লা নিহত হন। আহত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), ইনজামুল হক (২৬), আলতাব (৫৭), বাবলু মোল্লাসহ (৪৫) অন্তত ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাফরের পক্ষের মদিন মোল্লার মৃত্যুর খবরে হালিম পক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে যান। এ সুযোগে জাফর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করেও দু’পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
খতিয়ানের জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হালিম ও জাফর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী।
তিনি বলেন, শনিবারের সংঘর্ষ পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনলেও রোববারের সংঘর্ষে মদিন মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।