রাত পোহালেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সুপার ক্ল্যাসিকো
Published: 25th, March 2025 GMT
তাহলে তর্কটা জমবে কাদের ঘিরে, মেসি ব্যস্ত মায়ামিতে চোট সারাতে। সা পাওলোতে থাকা নেইমারও শুধুই দর্শক। আকাশিতে লাওতারো মার্টিনেজ নেই, হলুদে অনুপস্থিত অ্যালিসান বেকার! তারপরও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ বলে কথা, বছর বছর তো আর হয় না। সেখানে কিছু বিতর্ক থাকে, যা শাশ্বত। কিছু আবেগ জড়িয়ে থাকে, যা আপসেও ভাগাভাগি হয় না। তেমনই এক আপন অনুভূতি নিয়েই দর্শকদের সামনে আরও একটি ‘সাউথ আমেরিকান সুপার ক্ল্যাসিকো’ অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৬টায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। দুর্ভাগ্য এই যে বাংলাদেশ থেকে কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে ম্যাচটি দেখা যাবে না, তবে বিশ্বফুটবলের আকণ্ঠ পিপাসা যাদের, তারা জানেন মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন স্পোর্টস হাব সাইটে খেলা দেখা যায়।
তারা এটাও জানেন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের এই দ্বৈরথে পয়েন্টের অঙ্কটাই বা কি? ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে হারাতে পারলেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট হাতে চলে আসবে আর্জেন্টিনার। ম্যাচটি ড্র করলেও অবশ্য ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টিকিট মিলবে। আর ব্রাজিল জিতলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন তালিকার দ্বিতীয়তে চলে আসবে। ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা পরের বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে বিশেষ উদযাপন করতে চায়।
বুয়েন্স আয়ার্সের স্তাদিও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের গ্যালারির প্রায় ৮৫ হাজার টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকঢোল সঙ্গে নিয়ে গ্যালারিতে তারা ‘ভামোস ভামোস আর্জেন্টিনা.
আসলে বছর দুই আগে এই আর্জেন্টিনার কাছেই মারাকানায় হার কষ্ট দিয়েছিল ব্রাজিলকে। ‘মারাকানায় সেদিন ওটামেন্ডির গোলে আমাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সেদিন আমিও খেলেছিলাম কিন্তু দলের জন্য কিছু করতে পারিনি। তবে এবার সুযোগ এসেছে আর্জেন্টাইনদের সামনে তাদের মাঠে তাদের দলকে হারানোর।’
রাফিনিয়াহর এ আত্মবিশ্বাসের কারণ আগের ম্যাচেই কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছিলেন তিনি। ফর্মে আছেন তাঁর সঙ্গী ভিনিসিয়ুসও। বার্সা ও রিয়ালের এই দুই তারকাকে নিয়েই ব্রাজিল উজ্জ্বল। গৌরবময় অতীতের সঙ্গে বতর্মানটাও স্মরণীয় করে রাখতে চান তারা। তবে ব্রাজিলিয়ানদের এমন হুঙ্কারে ভয় পাওয়া দল নয় আর্জেন্টিনা।
‘প্রতিপক্ষ যে-ই হোক আমরা একই মানসিকতা নিয়েই খেলতে চাই। পেরু ও বলিভিয়াকে আমরা যেমন সম্মান জানিয়ে ও দায়িত্ব নিয়ে খেলেছি, ব্রাজিলের বিপক্ষেও তাই করব।’ বক্তার নাম এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বর দলকে তিনি ৭ ও ৯ নম্বর দলের মতো করেই দেখছেন!
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কিত ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের তথ্য নাকচ করে বলেছে, সংবাদমাধ্যমটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার আইএসপিআরের এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে যে ইন্ডিয়া টুডে আবারও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠিত একটি নিয়মিত বৈঠক সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
এতে বলা হয়েছে, আজ (২৫ মার্চ ২০২৫) প্রকাশিত ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি অপসাংবাদিকতার চর্চা এবং একসময়ের খ্যাতিমান সংবাদমাধ্যমটির বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে পতিত হওয়ার একটি উজ্জ্বল নজির।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা যাচাইযোগ্য প্রমাণবিহীন এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এতে উপস্থাপিত তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ‘আসন্ন অভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে’ বারবার দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ‘২০২৫ সালের ১১ মার্চ আমরা এক প্রতিবাদলিপিতে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ভুল প্রতিবেদনের বিষয় উন্মোচন ও খণ্ডন করেছি।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদকীয় নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়, যা সত্য প্রচারের পরিবর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টির দিকে ধাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেবায় এবং গণতন্ত্র ও শান্তি রক্ষার নীতি সমুন্নত রাখার জন্য তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ ও অবিশ্বাস তৈরি করে এমন ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’