লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় এক গৃহবধূ (২৩) তার ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন । এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে রামগতি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই গৃহবধূ। এরআগে ভোররাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে আরও ৪ জনের সহযোগীতায় ননদের স্বামী মো. জামাল তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত জামাল উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচার গ্রামের শফি আলমের ছেলে। ভূক্তভোগী গৃহবধূ একই গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে জানানো হয়, জামাল দীর্ঘদিন তার শ্যালকের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনাটি গৃহবধূ তার স্বামীকে জানায়। এ ঘটনায় সালিসি বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জামাল কারো কথা শোনে না। উল্টো গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়া অব্যাহত রাখে। সবশেষ ঘটনার সময় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া ঘর থেকে বের হলে জামাল ও তার ৪ সহযোগী গৃহবধূ হাত মুখ চোখ বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে জামাল তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় ভূক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা রুজু করা হবে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভূক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/লিটন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে আলাদা স্থানে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন একজন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ উপজেলার তিনটি গ্রামে বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে খালিয়াজুরীর ইউএনও উজ্জ্বল হোসেন জানান।

নিহতরা হলেন- উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫), কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে কবীর হোসেন (৪০) ও হায়াতপুর গ্রামের রসিক সরকারের ছেলে রাখাল সরকার (৬০)। আহত রুনু মিয়া (৩০) উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে ইউএনও উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রসুলপুর গ্রামে ধনু নদীর পাড়ে হাওর থেকে কেটে আনা ধান গোছানোর সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় রুনু মিয়া আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

অন্যদিকে, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোড়ল বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির সামনের হাওরে ধান কাটতে গেলে বজ্রসহ বৃষ্টির কবলে পড়েন কবীর হোসেন। তখন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মারা যান তিনি।

এছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওমর চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হায়াতপুর গ্রামের সামনে হাওর থেকে রাখাল সরকার গরু আনতে যান। এসময় সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাখাল সরকার।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে নিহতদের লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ