জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ ক্যাটাগরিতে নেবে কর্মী, পদ ৫৫
Published: 25th, March 2025 GMT
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ মন্ত্রণালয়ে সাত ক্যাটাগরির পদে ১২ থেকে ২০তম গ্রেডে ৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: হিসাবরক্ষকপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২.পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৭
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৪. পদের নাম: ক্যাশিয়ারপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
আরও পড়ুনপল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে বড় নিয়োগ, পদ ১৩৩০১ ঘণ্টা আগে৫. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকপদসংখ্যা: ৮
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৬. পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটরপদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনপল্লী উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, ৩৩৪ পদে আবার বিজ্ঞপ্তি৪ ঘণ্টা আগে৭. পদের নাম: অফিস সহায়কপদসংখ্যা: ২০
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বয়স: ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুনআনসার ব্যাটালিয়নে চাকরির সুযোগ২ ঘণ্টা আগেআবেদন ফিঅনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ১৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১৮ টাকাসহ মোট ১৬৮ টাকা; ২ থেকে ৬ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ৭ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ মে ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও ট ল টক র স র ভ স চ র জ ১ ম র চ ২০২৫ ত র খ ট ক সহ ম ট পদ র ন ম ১৮ থ ক য গ যত সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’ কি শুধু পুরুষেরই অপরাধ
ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদন হওয়া খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় রাখা হয়নি। এটি আইনে আলাদা ধারায় চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হবে সাত বছরের কারাদণ্ড। (প্রথম আলো অনলাইন, ২০ মার্চ ২০২৫)
বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ে ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়সী নারীর ক্ষেত্রে প্রতারণামূলকভাবে তাঁর সম্মতি আদায় করে যৌন সংগম করাকে ধর্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে। এর ফলে বহু মামলায় বিয়ের ‘প্রতিশ্রুতি’ বা ‘প্রলোভনে’ ধর্ষণ, এ রকম অভিযোগের উল্লেখ দেখা যায়।
অনুমোদিত খসড়া অনুযায়ী ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে অবৈধ যৌন সম্পর্ক’কে ধর্ষণের সংজ্ঞায় না রাখার বিষয়টি এক অর্থে ‘ইতিবাচক’। কিন্তু এর পরও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।
আগে ‘প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের’ কথা বলা হলেও সংশোধিত খসড়া অধ্যাদেশে সুনির্দিষ্টভাবে ‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’কে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী করলে প্রকৃত অর্থে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তার সুস্পস্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। কেউ বিয়ের কথা বলে যৌন সম্পর্ক করার সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধ সংঘটিত হবে, নাকি পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করলে অপরাধ হবে? অর্থাৎ অপরাধকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধপরায়ণ কেউ এ আইনের অপব্যবহার করতে পারেন। কেউ কেউ এ রকম ধারায় মামলা করে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারেন। এর ফলে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, মামলাবাণিজ্যও হতে পারে।একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখালেই তিনি শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন—এই ধরনের চিন্তা বা অনুমান খুবই পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে একজন নারীকে ‘লোভী’ বা ‘নির্বোধ’ হিসেবে দেখা হয়, যিনি কোনো পুরুষের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পরেন। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর পুরুষ সঙ্গীটির সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
সম্মতির ভিত্তিতে প্রাপ্তবয়স্ক নারী–পুরষের শারীরিক সম্পর্কে ‘কন্ট্রিবিউটরি পার্টিসিপেশন’ থাকে। তাহলে শুধু এক পক্ষকে শাস্তি দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। অনেক ক্ষেত্রে নারীরাও প্রেম বা সম্পর্ক ভেঙে দেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রাক্তন কি একইভাবে সেই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন? খসড়া অধ্যাদেশে এ রকম কোনো কিছুর সুযোগ নেই। তাহলে আইনের এ ধারাটা কি বৈষম্যমূলক হচ্ছে না?
‘বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক’কে- অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হলে ‘ব্লাকমেলিং’ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধপরায়ণ কেউ এ আইনের অপব্যবহার করতে পারেন। কেউ কেউ এ রকম ধারায় মামলা করে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারেন। এর ফলে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, মামলাবাণিজ্যও হতে পারে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা তা রক্ষা করা একটি নৈতিক এবং সামাজিক বিষয় হতে পারে, কিন্তু শুধু প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার কারণে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। সম্পর্কের টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত মতপার্থক্য বা পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে অনেক সময়ই কারও পক্ষে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব না–ও হতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় না রেখেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে—এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইশরাত হাসান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী