২ / ৮‘দমদমা বধ্যভূমি’ স্মৃতিসৌধ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ায় চার সাংবাদিককে ৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড
রাশিয়ার বিরোধীদলীয় প্রয়াত নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগ তুলে ‘চরমপন্থা’র দায়ে চার সাংবাদিককে সাড়ে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন মস্কোর নাগাতিনস্কি ডিস্ট্রিক্ট আদালত।
গত মঙ্গলবার আদালত সাংবাদিক আন্তোনিনা ফাভোরস্কায়া, কনস্তান্তিন গাবোভ, সের্গেই ক্যারেলিন ও আরতিয়ম ক্রিগেরকে দোষী সাব্যস্ত করেন। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ ওই সংগঠনকে আগে থেকেই ‘চরমপন্থী’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আদালতের এ রায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁরা শুধু নিজেদের সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ব পালন করার কারণেই শাস্তি পাচ্ছেন।
নাভালনিকে যেসব অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রশ্ন আছে। অনেকেই বলছেন, তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্যই ওই মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিপ্রেক্ষিতে নাভালনির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাংবাদিকদের সাজা দেওয়ার বিষয়টি আরও বেশি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।এই রায় ভিন্নমতের প্রতি রাশিয়ার ব্যাপক দমন-নিপীড়নের সর্বশেষ নজির। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে এ ধরনের দমন-নিপীড়ন আরও তীব্র হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ ক্রেমলিনবিরোধী সমালোচকদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর শিকার হচ্ছেন বিরোধী রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীন সাংবাদিকেরা। ইতিমধ্যে শত শত মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বিচারিক হয়রানির ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে আন্তোনিনা ফাভোরস্কায়া ও আর্তিয়ম ক্রিগার ছিলেন সোতা ভিশন নামের স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। কনস্তান্তিন গাবোভ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রয়টার্সও। আর সের্গেই ক্যারেলিন একজন ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিক। তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে (এপি) নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুনরাশিয়ায় কারাবন্দী নাভালনির মৃত্যু, পুতিনের সমালোচনায় বিশ্বনেতারা ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪দণ্ডপ্রাপ্ত চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রুশ কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা অ্যালেক্সি নাভালনির দুনীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের (এফবিকে) সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এই সংগঠনকে ২০২১ সালে বেআইনি ঘোষণা করে ‘চরমপন্থী’ তকমা দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ। আর এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিরোধীদের দমনের একটি কৌশল বলে মনে করেন অনেকেই।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে আন্তোনিনা ফাভোরস্কায়া ও আর্তিয়ম ক্রিগার ছিলেন সোতা ভিশন নামের স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। কনস্তান্তিন গাবোভ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রয়টার্সও। আর সের্গেই ক্যারেলিন একজন ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিক। তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে (এপি) নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।নাভালনি দীর্ঘদিন ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে শক্তিশালী সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি খ্যাতির শীর্ষে উঠে আসেন। তিনি আর্কটিক অঞ্চলের একটি কারাগারে ১৯ বছরের সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান।
আরও পড়ুনমৃত্যুর আগের দিনও মজা করেন নাভালনি, ছিলেন চনমনে১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নাভালনিকে যেসব অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রশ্ন আছে। অনেকেই বলছেন, তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্যই ওই মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিপ্রেক্ষিতে নাভালনির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাংবাদিকদের সাজা দেওয়ার বিষয়টি আরও বেশি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঅ্যালেক্সি নাভালনি খালি খালি মরেননি০৩ মার্চ ২০২৪