বিস্ফোরক মামলায় নওগাঁর বদলগাছী আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার ভান্ডারপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করেছিল থানা পুলিশ। ঘটনার পরের দিন বেলাল হোসেন সৌখিন নামে বিএনপির এক নেতা বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের এজাহার নামীয় ৪০ জন নেতাকর্মীসহ আরও অজ্ঞাত ৮০-১০০ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় উপজেলা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আবু খালেদ বুলু বিস্ফোরক মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। সোমবার রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার হয়। আজকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ন ত নওগ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ১

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মন্দরি ইউনিয়নের রত্না নদীর তীরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আন্নর আলী (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। 

নিহত আন্নর আলী উপজেলার সোনামপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয়রা জানান, সোনামপুর গ্রামের আরজত আলী ও রশিদ মিয়ার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে বুধবার বিকেলে তাদের লোকজন রত্না নদীর তীরে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে টেঁটা ও ফিকল (দেশীয় অস্ত্র) নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় আন্নর আলীসহ তিনজন টেঁটাবিদ্ধ হলে তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আন্নর আলীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। টেঁটাবিদ্ধ অন্য দুইজন হলেন-  একই গ্রামের উমর আলীর ছেলে মানিক মিয়া ও রশিদ মিয়া। তারা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু

মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি

মন্দরি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাবিব মিয়া বলেন, “নিহত আন্নর আলী কোনো পক্ষের লোক ছিলেন না। তিনি তৃতীয়পক্ষ হিসেবে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।”

বানিয়াচং থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।সোনামপুর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ