কক্সবাজারে আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া ইউনিফর্মসহ তিন জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী পূর্ব ফারির বিল এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী শফিকা আক্তার (৩৭), একই ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী মিনুয়ারা আক্তার (৩৩) এবং একই ইউনিয়নের দিল মোহাম্মদের ছেলে ইকবাল হাসান (১৪)।

র‍্যাব-১৫ জানায়, রোববার বিকেলে সদর কোম্পানির একটি দল অভিযান চালিয়ে দুই নারী ও এক কিশোরকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬০ জোড়া ইউনিফর্ম, ৩৫ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় নুর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়।

র‍্যাব আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পলাতক নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে তারা এসব ইউনিফর্ম তৈরি করত এবং তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতো।

র‍্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) আ ম ফারুক জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম আটক ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার

ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।

সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।

এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’

অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ