জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাত জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।


মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন সরকারপ্রধান। 

এ বছর সাত জনের মধ্যে ছয় জনকে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।  

পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়, তবে তার পুরস্কারের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড.

শেখ আব্দুর রশীদ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষে প্রতি বছর জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এই পুরস্কার ১৯৭৭ সালে প্রবর্তন করা হয়। সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩২৪ জন ব্যক্তি ও ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ প রস ক র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখার বিষয়টি মানব সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, “পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখার বিষয়টি প্রকৃত অর্থে মানব সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত। পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হলে প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু করে যেতে হবে। এসব কাজ একা একা কখনোই করা যায় না। ব্যক্তি ও সামষ্টিক উভয়ভাবেই করতে হয়। তাহলে কাজগুলোর পরিপূর্ণতা আসে।”

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের স্বার্থে পরিচ্ছন্ন সবুজ ক্যাম্পাস’ অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইউনিডো, ঢাকাস্থ নরওয়ে দূতাবাস এবং প্রাণ আরএফএল গ্রুপের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

নববর্ষে ডুজায় পান্তা-ইলিশ উৎসব 

এ সময় উপাচার্য বলেন, “এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষের অস্তিত্বের যে সংগ্রাম, সেটাতে ভূমিকা রাখবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় এসব কাজের সঙ্গে থাকবে। আমাদের এখানে পরিবেশ ক্লাবগুলো কাজ করছে। আমি খুব আশাবাদী। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এ কাজগুলো যাতে থেমে না যায়। কোনো না কোনোভাবে কাজগুলো নিয়ে লেগে থাকতে হবে। চেষ্টা করে যেতে হবে। তাহলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানটি তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিলো। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম। 

এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি মো. কামরুজ্জামান, ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জাকি উজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. রিদওয়ানুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল আল মামুন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সুমাইয়া তাবাসসুম আহমেদ প্রমুখ।

দ্বিতীয় পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল ও বুয়েটের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
 

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ