Prothomalo:
2025-03-25@19:51:23 GMT

নারীরা কীভাবে ইতিকাফ করবেন

Published: 25th, March 2025 GMT

ইতিকাফ অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। নারীদের জন্য ইতিকাফ সহজও বটে। নারীরাও ইতিকাফ করতে পারেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করেছেন। তার ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২৬; মুসলিম, হাদিস: ১,১৭২)

তবে কারও স্বামী এমন অসুস্থ বা অক্ষম হন যে তার নিবিড় শুশ্রূষার প্রয়োজন, তাহলে তার ইতিকাফে বসা উচিত হবে না। কিংবা কারও ছোট ছোট সন্তান থাকলে যদি দেখা দেখার কেউ না থাকে, তবে তারও উচিত হবে না ইতিকাফে বসা। (আহকামে রমজান ও জাকাত, ৬৪)

নারীর ইতেকাফের বিধান

রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ নারীর জন্য মোস্তাহাব। রাসুলের স্ত্রীরা ইতিকাফ পালনের জন্য রাসুলের অনুমতি চেয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, ইতিকাফের জন্য অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া জরুরি। নারীদের ইতেকাফের পরিবেশ হতে হবে পুরুষের সংস্পর্শ থেকে দুস্তর ব্যবধানে। (আলবানি, কিয়ামু রমজান, ২৯)

ইতিকাফের জন্য বিবাহিতা নারীর স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর উচিত যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীর ইতিকাফ বারণ না করা, তাদের ইতিকাফের সওয়াব থেকে বঞ্চিত না করা। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৭৪; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪২৯)

অনুমতি দেওয়ার পর স্বামী স্ত্রীকে ইতিকাফে বাধা দিতে পারবে না। বাধা দালে স্ত্রীর সে বাধা মান্য করা কর্তব্য নয়। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪২৯; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি, ১/২১১)

আরও পড়ুনমহানবীর (সা.

) ইতিকাফ২০ মার্চ ২০২৫

কোথায় ইতিকাফ করবেন

নারীরা ইতিকাফ করবেন ঘরের নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে। এমন নির্ধারিত স্থান না থাকলে ইতেকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারিত করে নেবেন। তবে মসজিদে ইতিকাফ করাও তাদের জন্য বৈধ—যেভাবে রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর স্ত্রীরা মসজিদে নববিতে ইতিকাফ করেছেন। (হেদায়া, ১/২৩০; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/২১১; বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮২)

নির্ধারিত স্থান থেকে মানবিক প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারবেন না, তাহলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পেশাব-পায়খানা বা অজুর জন্য বাইরে যেতে পারবেন। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার আনার জন্য বাইরে যেতে পারবেন। পানাহারও সেই নির্ধারিত স্থানে করতে হবে। (হেদায়া, ১/২৩০)

ইতিকাফের স্থান থেকে অন্যদের সাংসারিক কাজের নির্দেশনা দেওয়া যাবে। তবে বাইরে যাওয়া যাবে না। রান্নার লোক না থাকলে ইতেকাফের স্থানে বসে রান্না করা সম্ভব হলে করা যাবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া, ১৫/৩৩৪)

দরকার হলে সেখানে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮২; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৩৫)

আরও পড়ুনরমজানে ইতিকাফের নিয়ম ২৯ মার্চ ২০২৪

তিনটি জরুরি বিধান

১. ইতিকাফ অবস্থায় দিন-রাতে কখনো স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। তবে তিনি চাইলে পাশে থাকতে পারবেন। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৮৫; ফাতাওয়ায়ে শামি, ৩/৪৪২)

২. শিরক বা কুফরি কাজে লিপ্ত হলে এবং অজ্ঞান বা পাগল হয়ে গেলে বা মাতাল হয়ে পড়লে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।

৩. ঋতু হলে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে বা গর্ভপাত হলে ইতিকাফ বহাল থাকবে না। (আহসানুল কাতাওয়া, ৪/৫০২)

আরও পড়ুন ইতিকাফ আল্লাহর ঘরে, আল্লাহর সঙ্গে০৪ এপ্রিল ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ব প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

দেশ নিয়ে আবারও সুকৌশলে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার এবং বাংলাদেশকে আবারও বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য।

আজ সোমবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে আয়োজিত বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের জন্য এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন এ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাদেরও বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এর পেছনে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। তিনি বলেন, ‘এর (ষড়যন্ত্র) পেছনে ঠিক তা–ই আছে, অতীতে ফ্যাসিস্ট আমলে যেভাবে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম অবস্থাকে বিপন্ন করা হয়েছে। আমরা যেন আবারও অরক্ষিত হয়ে পড়ি, তার একটি হীন প্রচেষ্টা হচ্ছে, যে সেনাবাহিনী জাতির সব সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’

সাংবাদিকেরা অতীতে জাতির কঠিন সময় সঠিক তথ্য নিয়ে সামনে এসেছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আবারও আপনারা অতীতের মতো জাতির সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন।’

বিএনপির বিরুদ্ধে এখনো নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) অতীতেও আমাদের জন্য কাজ করেছেন। আগামী দিনেও বিএনপির বিরুদ্ধে এসব প্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সত্য তথ্য তুলে কাজ করবেন।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একাত্তর ও চব্বিশ সমান যারা বলে, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি
  • ‘দেশটা কারও বাপের না’ বললে আমার গায়ে লাগে: মির্জা আব্বাস
  • দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল