Risingbd:
2025-04-15@22:04:38 GMT

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

Published: 25th, March 2025 GMT

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়

হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন পাশের মানুষের সহযোগিতা। যার চোখের সামনে ঘটনাটি ঘরে সেই মানুষটি সহযোগিতা না করলে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ডা. সি এম শাহীন কবীর, এমবিবিএস, এমডি (কার্ড)’ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘যদি আপনার কাছের লোকের দেখেন যে তীব্র বুকে ব্যথা হচ্ছে, ব্যথার তীব্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছে গলায় এবং বামহাতে, প্রচুর ঘাম হচ্ছে তখন কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আমরা ইসিজি করে নিশ্চিত করি যে, হার্ট অ্যাটাকজনিত কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা। যদি ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইনিশিয়ালি কিছু ওষুধ সেবন করানো হয়। সেগুলোর মধ্যে থাকে ইকোস্প্রিনজাতীয় ওষুধ। এতে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি বুকে ব্যথা হলে অনেকে হাসপাতালে যেতে গড়িমসি করেন। তারা মনে করেন বুকের ব্যথা হয়তো হার্টের কারণে নয়, এটা গ্যাসের সমস্যার জন্য হচ্ছে। বা মাংসপেশীর ব্যথার জন্য হচ্ছে। কিন্তু আমার পরামর্শ হচ্ছে যাদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তাদের বড় ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে।’’ 

আরো পড়ুন:

পুরনো প্রসাধনী থেকে যেসব সংক্রমণ হতে পারে

কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে

ডা.

সি এম শাহীন কবীরের পরামর্শ—

অনেক সময় হার্টে রিং পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। যাদের হার্টে রিং পরানো হয় তাদের অন্য রক্তনালীগুলো যাতে ব্লক না হয় সেজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। 

নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে।

মেডিটেশন করতে হবে।

সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে।

সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিমা মাত্র

বাবেলের অধিবাসীরা যখন হজরত ইবরাহিমের (আ.) কথা কর্ণপাত করল না, শক্ত যুক্তিও মেনে নিতে রাজি হলো না, তখন তিনি দাওয়াত দেওয়ার ভিন্ন একটি কৌশল অবলম্বন করলেন। তাদের মন্দিরে অনেকগুলো কাঠের দেবদেবী ছিল, এর মধ্যে একটি ছিল প্রধান দেবতা। তিনি পরিকল্পনা করলেন তার জাতিকে দেখাবেন এই প্রতিমাগুলো কত দুর্বল—নিজের শরীর থেকে একটি মাছি তাড়াবারও শক্তি এদের নেই।

একদিন বাবেলে ধর্মীয় মেলা হবে, লোকজন ইবরাহিমকে (আ.) সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। ইবরাহিম (আ.) আকাশের তারকার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি অসুস্থ।’ তিনি ঠিক মিথ্যা বলেননি, তার জাতির কুফরি কাজকর্মে তিনি আত্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারা তার কথা বিশ্বাস করে। (সুরা সফফাত, আয়াত: ৮৮-৯০) ইবরাহিম (আ.) আস্তে আস্তে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা চলে যাওয়ার পর আমি অবশ্যই তোমাদের প্রতিমাগুলোর কায়দা করব।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৫৭)

আরও পড়ুন‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কখন পড়ব০৪ মার্চ ২০২৫

এরপর তারা যখন চলে যায়, তিনি চুপি চুপি প্রতিমাগুলোর কাছে গেলেন। যাদের সামনে ছিল থরেথরে সাজানো ফলমূল আর সুস্বাদু খাবার। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি খাবে না? তোমাদের কী হয়েছে, কথা বলছো না কেন?’ (সুরা সফফাত, আয়াত: ৯১-৯৩) তিনি সজোরে মূর্তিগুলোর ওপর আঘাত হানলেন। কিন্তু বড় মূর্তিটাকে কিছু করলেন না, যেন ওটার ওপর সব দোষ চাপানো যায়।

লোকজন ধর্মমেলা থেকে ফিরে যখন মন্দিরের এই হাল দেখল, রেগেমেগে একদম বেহাল হয়ে হয়ে গেল। তারা বলল, ‘কে আমাদের দেবদেবীর এই অবস্থা করল? সে নিশ্চয় সীমালংঘনকারী। কেউ কেউ বলল, এক যুবককে দেখেছি এদের সমালোচনা করতে, তার নাম ইবরাহিম। তারা বলল, তাকে জনতার সামনে উপস্থিত করো, যেন তারা তাকে দেখতে পারে।’

ইবরাহিমকে (আ.) উপস্থিত করার পর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘তুমিই কি আমাদের দেবদেবীদের এই হাল করেছ? ইবরাহিম (আ.) বললেন, ওই বড় দেবতাটাই এসব করেছে, ওটাকে জিজ্ঞেস করো, যদি কথা বলতে পারে!’

এ কথা শুনে তারা চিন্তায় পড়ে গেল। তারা একে অপরকে বলল, তোমরা দেবদেবীদের অরক্ষিত রেখে গেছ, তোমরাই বরং সীমালঙ্ঘনকারী। তারপর লজ্জায় তাদের মাথানত হয়ে গেল। তারা ইবরাহিমকে (আ.) বলল, ‘তুমি তো ভালো করেই জানো এরা কথা বলতে পারে না।’

আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সার কথা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইবরাহিম (আ.) এই মন্তব্য শোনারই অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বললেন, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করো, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না এবং কোনো ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক তোমাদের এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৫৯-৬৭)

মূর্তিপূজার অসারতার এমন স্পষ্ট প্রমাণের পর বাবেলের অধিবাসীদের উচিত ছিল এক আল্লাহয় বিশ্বাস করা, হজরত ইবরাহিমকে (আ.) নবী বলে মেনে নেওয়া। কিন্তু তারা তা না করে ফন্দি আঁটতে থাকে কীভাবে মূর্তি ভাঙার প্রতিশোধ নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া যায়।

আল্লাহর শরিয়ত কোনো প্রাণীকেই জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অনুমতি দেয় না, আর মানুষ তো সবচেয়ে সম্মানিত প্রাণী, তার বেলায় তো আরও আগে না। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৫৪২) কিন্তু কাফেরদের নীতিতে ইনসাফ নাই, মানবতা নাই, আছে কেবল পাশবিকতার জয়গান। আর তাই বাবেলের মূর্তিপূজারীরা সিদ্ধান্ত নেয়—এই যুবককে নিরস্ত করার একটাই উপায় আছে, আর তা হলো জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা।

আরও পড়ুনআল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন নবী সোলায়মান (আ.) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ