শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো নিউজিল্যান্ড
Published: 25th, March 2025 GMT
দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। তাৎক্ষণিক কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২:৪৩ মিনিটে দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্পে কাঁপল ভারতের কার্গিল ও অরুণাচল
সিলেটে আবারো ভূমিকম্প অনুভূত
দেশটির সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্নারেস দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে সাউথ আইল্যান্ডের ইনভারকারগিল, গোর, তে আনাউ, ক্রমওয়েল, কুইনস্টাউন এবং ডুনেডিনসহ বিভিন্ন স্থানে জিনিসপত্র পড়ে গেছে এবং ভবনগুলো দুলতে দেখা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তীব্র এবং অস্বাভাবিক স্রোত বিপদ ডেকে আনতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অঞ্চলগুলোতে সুনামির কোনো হুমকি নেই।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বক্তব্য দেন।