নরসিংদীতে গাড়ি আটকে ৩ লাখ টাকা ডাকাতি
Published: 25th, March 2025 GMT
নরসিংদীর মনোহরদীর একটি সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা নেসলে কম্পানির একটি পিকআপ ভ্যান আটকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে মনোহরদী-ড্রেমেরঘাট আঞ্চলিক সড়কের গজারিয়া স্লুইসগেটে ঘটনাটি ঘটে।
মনোহরদী থানার ওসি আব্দুল জব্বার বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পিকআপ ভ্যান ও কম্পানির লোকজনদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লুট হওয়া টাকা উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।”
আরো পড়ুন:
বরগুনাগামী বাসে ডাকাতি
সাভারে চলন্তবাসে ছিনতাইয়ের অভিযোগ, আটক ৩
গাড়িচালক গফুরউদ্দিন জানান, সোমবার সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নেসলে কম্পানির পরিবেশকের গুদাম থেকে পণ্য বিক্রির জন্য পিকআপ ভ্যানটি বের হয়। চকবাজার এবং নোয়াকান্দী বাজারে বিক্রি শেষে মনোহরদী ফিরছিল পিকআপ ভ্যানটি। মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের গজারিয়া স্লুইসগেটের সামনে পৌঁছলে সাদা রঙের একটি হায়েস গাড়ি সড়কের মাঝে দাঁড় করিয়ে পিকআপ ভ্যানটিকে আটকায় ডাকাতরা। ওই গাড়ি থেকে নেমে আসা ৭-৮ জন মুখোশপড়া ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিকআপ ভ্যানটির সামনের গ্লাসে আঘাত করেন।
তিনি আরো জানান, অন্য একজন গাড়ির দরজা খুলে ফেলেন। ডাকাতরা পিকআপ ভ্যানের ভেতরে থাকা দুই বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে তারা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
নেসলের মনোহরদী পরিবেশক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মাছুম মিয়া বলেন, “মালামাল বিক্রি শেষে ফেরার পথে ৭-৮ জন ডাকাত এসে গাড়ি ভেঙে ব্যাগে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়। ব্যাগে পণ্য বিক্রির ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিল।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ প কআপ ভ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বক্তব্য দেন।