নেত্রকোনায় পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
Published: 25th, March 2025 GMT
নেত্রকোনায় পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন ও খালিয়াজুরি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে মোজাম্মেলকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে গতকাল সোমবার রাত দুইটার দিকে নূরপুর-বোয়ালি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন সাদেকুর।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৫৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ আজ সকালে জানান, মোজাম্মেলের নামে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা আছে। এর মধ্যে তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
অন্যদিকে সাদেকুর রহমানও দুটি মামলার আসামি। সাদেকুরের এক স্বজন বলেন, রাজনৈতিক মামলা করার পরপরই পুলিশ সাদেকুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হন। কিন্তু আবারও ডিবি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান আলী আজ সকালে বলেন, সাদেকুরের নামে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা আছে। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বক্তব্য দেন।