ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ
Published: 25th, March 2025 GMT
দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। এই ছুটির সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ফলে ছুটির দিনগুলোতে গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস(এমএফএস) এর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় অটোমেটেড টেলার মেশিন-এটিএম এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে, এটিএম এ কোন প্রকার কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করতে হবে, এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা এটিএম বুথ পরিদর্শন করবে।
পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক পিওএস এবং কিউ আর কোডভিত্তিক লেনদেন সেবা নিশ্চিত করতে হবে, জাল জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহকদেরকে সচেতন করতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন ই পেমেন্ট গেটওয়ে এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, একাউন্টের এর মাধ্যমে সম্পাদিত লেনদেন ও অনলাইন ই পেমেন্ট গেটওয়ে তে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট পেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। ‘৮৫’ রেসপন্স কোড সম্বলিত লেনদেনের সেটেলমেন্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর রিসিভিং ব্যাংক নিজ উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে বেনিফিসিয়ারি গ্রাহকের হিসাবে ফান্ড ক্রেডিট করতে হবে।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারী সব ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন এবং এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদের ছুটিকালীন সময়ে পরিশোধ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে উপর্যুক্ত সেবার আওতার সিস্টেমগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সেবার আওতায় যে কোন অংকের লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে অবহিত করতে হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা; এ সব লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সার্বক্ষণিক হেল্প লাইনের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঢাকা/এনএফ/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত করত ন শ চ ত কর এর ক ষ ত র পর য প ত ল নদ ন র ব যবস থ সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গা শিবিরে পানির সংকট তীব্র: এমএসএফ
কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০ লিটার করে পানি পাচ্ছেন। এই পরিমাণ পানি জীবনধারণের প্রয়োজনের অর্ধেক। সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বলেছে, পানি সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) টেকনাফে চলমান এই সংকটের কথা বলেছে। পাশাপাশি এমএসএফ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এসএমএফ বলেছে, উদ্বেগজনক হারে সংরক্ষণব্যবস্থা কমে আসায় পানির সংকট আরও কঠিন হয়েছে। টেকনাফ মূলত মজুদকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই বছর আশঙ্কাজনক হারে মজুদকৃত পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে এমএসএফ-এর মিশন প্রধান আন্তোনিও কারাডোনা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। টেকনাফে প্রতিদিন জনপ্রতি ১০ লিটার পানি পাওয়া যায়, যা একজন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ক্যাম্পজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নানা রোগের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব থেকেই এই সংকটের তীব্রতা স্পষ্ট।’
নূর আলম নামের একজন রোহিঙ্গা তাঁর কষ্টের কথা এমএসএফকে শুনিয়েছেন। নূর আলম বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে পানিসংকট তীব্র হতে দেখছি, এখানে সাহায্য–সহযোগিতাও অনেক সীমিত। অনেককেই বাধ্য হয়ে অনেক দূরে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি আনতে হয়, যা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষও।’
এমএসএফ বলেছে, জরুরি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকা, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহব্যবস্থা আরও উন্নত ও দ্রুত করার সুযোগ আছে। কলেরার মতো পানিবাহিত রোগসহ নানাধরনের চর্ম রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমএসএফ একটি বোরহোল, একটি পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ সেবা শুরু করেছে এবং ক্যাম্পে ট্রাকের মাধ্যমে পানি সরবরাহ সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এই জরুরি পদক্ষেপগুলো যদিও এ সংকটের সাময়িক সমাধান দেয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ও পর্যাপ্ত নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও দাতাসংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই পানি সরবরাহে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ। পাশাপাশি দায়িত্বশীল অংশীদারদের কাছে জবাবদিহি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা বলেছে তারা।