পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই ২৪-সেপ্টেম্বর ২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ পয়সা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ১ পয়সা, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা।

বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানির রাজস্ব আয় অনেকটা কমে যাওয়ায় মুনাফা কমে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, তার ছাপ পড়েছে কোম্পানির মুনাফায়। সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্ট সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি বিপন্ন হয়েছে বলে মনে করে কোম্পানিটি।

গত এক বছরে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে তেমন একটা মুনাফা দেয়নি। ২০২২ সালে তারা লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে দিয়েছে ২ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সালে তারা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৮ শতাংশ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম প র ন ত ক স প ট ম বর ন হয় ছ বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ

রাজনীতিবিদেরা সাধারণত পুরো সত্য বলেন না। যেটুকু নিজের স্বার্থে কাজে আসে, সেটুকুই বলেন। এই বিষয়ক একটি রূপক ইংরেজিভাষী অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত। সেটা হলো ‘গ্লাস হাফ ফুল অর হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ ফুল’ আর কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ একই জিনিস দুজন দুভাবে বলেন। কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক ভরা, কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক খালি।

বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য। কিন্তু সেই ঘাটতি মূলত পণ্য বাণিজ্যে। সেবা বাণিজ্যে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। সেখানে তাকে ধরাছোঁয়ার মতো কেউ নেই।

সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো সেবা ব্যবসা। এটাই মার্কিন অর্থনীতির গোপন সূত্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে সেবা রপ্তানি করে। যেসব দেশে এই সেবা রপ্তানি করা হয়, তারা আবার জানে, যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় পড়লে তারা এসব আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারবে, যেমন তারা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি থেকে এসব সেবা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডের শর্ত দিতে পারে।

সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯১ হাজার ‍৮৪০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ঘাটতি মানেই খারাপ নয়।

দ্বিতীয় জমানায় ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ দিয়েই যাচ্ছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিশক্তি ফেরালেন ব্রিটিশ
  • অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
  • আইডিএলসি ফাইন্যান্সের পর্ষদ সভার তারিখ আবারো পরিবর্তন
  • তিতাস গ্যাসে চাকরি, অফিস সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা
  • বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ
  • পুরোদমে চলছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, জিম্বাবুয়ে আসছে মঙ্গলবার
  • গোলকিপার এদেরসন গোল করিয়েই যাচ্ছেন
  • ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ঢাকায় গড় উপস্থিতি ৮৫ শতাংশ
  • জার্মানির ২৮ লাখ নাগরিক জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি