ঈদুল ফিতরের মাত্র কয়েকদিন বাকী। ঈদ মানেই নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার। এ দিন বাড়িতে বাড়িতে মাংসের নানা পদ রান্না হয়। একটু ভিন্নতা আনতে উৎসবের এ দিনটিতে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন আস্ত মুরগির রোস্ট।
উপকরণ: মাঝারি আকারের মুরগি ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা চামচ, গোল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবঙ্গ ২/৩ টি, দারুচিনি ৪/৫ টি, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, আধা কাপ টমেটো সস, আধা কাপ পানি, লবণ পরিমাণ মতো, কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চামচ, বাটার / ঘি ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ,তেজাপাতা ২ টি, বেরেস্তা ভাজা আধা কাপ, তেল পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে কাঁটা চামচ দিয়ে মুরগিটা অল্প করে কেচে নিন। এবার এতে টক দই, আধা চামচ আদা বাটা, আধা চামচ রসুন বাটা, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে এক ঘণ্টা মেরিনেট করুন। এক ঘণ্টা পর মুরগিটা তেলে হালকা করে ভেজে একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই গরম তেলে তেজপাতা, লবঙ্গ ২/৩ টি, দারুচিনি ৪/৫ , কিছুক্ষণ ভেজে তাতে পেয়াজবাটা, বাকী আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর মরিচ বাটা, টমেটোর সস.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব’
খেলাধুলা থেকে অবসর না নিয়ে রাজনীতির মাঠে নাম লিখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। মাগুড়া থেকে নির্বাচন করে হয়েছিলেন সংসদ সদস্য। কিন্তু ৬ মাসও টেকেনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
গত বছরের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামীলীগ সরকারের। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় সাকিবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থেমে যায় ওখানেই। এরপর নানা পট পরিবর্তন, বাক বদলে সাকিব দেশের মাটিতে ফিরতে পারেননি। হত্যা মামলা, শেয়ার বাজারের অনিয়মে মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মতোও ঘটনা ঘটেছে সাকিবের জীবনে। এসবের সূত্রপাত তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই।
তবে সাকিব মনে করেন, তার রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিলে তিনিই জিতবেন এমনটাই বিশ্বাস করেন। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
আরো পড়ুন:
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন সাকিব
জন্মদিনে তামিমকে ভাই-বন্ধু ডেকে যে দোয়া চাইলেন সাকিব
রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘‘দেখুন, ব্যাপারটা হলো, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যদি আমার জন্য ভুল হয়ে থাকে, তবে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলে সেটাও ভুলই হবে। ডাক্তার, ব্যারিস্টার, ব্যবসায়ী যে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলেই ভুল হতে পারে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার এবং যে কেউ তা করতে পারে। মানুষ আপনাকে ভোট দেবে কি দেবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি যখন যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমি সঠিক ছিলাম বলে মনে করি এবং আমি এখনো বিশ্বাস করি যে, আমি সঠিক ছিলাম। কারণ, আমার উদ্দেশ্য ছিল মাগুরার মানুষের জন্য কাজ করা। আমি অনুভব করেছি, আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারি। আমি এটাও অনুভব করেছি যে, মাগুরার মানুষ আমাকে চেয়েছিল।’’
‘‘আমি বিশ্বাস করি, আমার নির্বাচনী এলাকায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবং আমি মনে করি না যে, আমি যদি আবার দাঁড়াই, তবে অন্য কেউ জিতবে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমি যা করেছি, তাতে আমি কোনো ভুল দেখি না। যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়াই, তখন আমি মাগুরার মানুষের সেবা করার সুযোগ চেয়েছিলাম। মানুষ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমি তাদের যেভাবে সেবা করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পারিনি। এটা আমি মেনে নিয়েছি।’’
সাকিবের বিশ্বাস আবারও নির্বাচনে দাঁড়ালে তিনিই জিতবেন, ‘‘দেখুন, অনেকে বলতে পারে আমার রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। কিন্তু যারা এসব বলছে, তাদের বেশির ভাগই আমার এলাকার ভোটার নয়। মাগুরার ভোটাররা ভিন্নভাবে চিন্তা করে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, যদি আজ আবার নির্বাচনে অংশ নিই, তবে মাগুরার মানুষ আমাকেই আবার ভোট দেবে। কারণ, তারা বিশ্বাস করে আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারব। এটা আমার বিশ্বাস এবং আমি এ জন্যই রাজনীতিতে এসেছি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ