আশুতোষ শর্মা একজন ছক্কা মেশিন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩২ ম্যাচে ৬১ ছক্কা করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের কদরটাই ছক্কা মারতে পারার জন্য। কাল আইপিএলের সৌজন্যে পুরো বিশ্ব আরও একবার আশুতোষের সামর্থ্য দেখল।

সহজেই ছক্কা মারা আশুতোষের জীবনের গল্পটা অবশ্য সহজ নয়। একটা সময় গেছে এমন যখন একবেলা খাবার জোগাড় করতে খেলার পাশাপাশি আম্পায়ারিংও করেছেন এই ক্রিকেটার।

কাল ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার আশুতোষ যখন উইকেটে আসেন, দিল্লির রান তখন ৫ উইকেট ৬৬। দলটির জন্য ২১০ রানের লক্ষ্য ছোঁয়া তখন অসম্ভব মনে হচ্ছিল। আশুতোষ ইনিংসের প্রথম ২০ বলে করেন ২০ রান। তখন দিল্লির হাতে উইকেট আছে ৪টি, জিততে দরকার ৫ ওভারে ৬২। সেখান থেকে নিজের ইনিংসে পরের ১১ বলে ৫ ছক্কায় ৪৬ রান করে দলকে ১ উইকেটের জয় এনে দেন আশুতোষ।

আবার আলোচনায় আশুতোষ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবি শিক্ষক সুজন চৌধুরী সাময়িক বহিষ্কার

ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব সাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ভুক্তভোগী নারীকে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর তার নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দেন। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. সুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেছেন, থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং আদালতের শরণাপন্ন হতে বলে। পরে তিনি চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন তালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমন কি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী। অভিযোগ মিথ্যা।’

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতার কারণে মুখ খোলেনি কোনো ভুক্তভোগী। গত জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতার অভিযোগে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ