যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফর ঘিরে বিতর্ক
Published: 25th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের আসন্ন গ্রিনল্যান্ড সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘অত্যন্ত আগ্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে এ সফরে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। তারা গ্রিনল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি কুকুরের স্লেজ দৌড় প্রতিযোগিতা দেখবেন।
গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে তাদের এ সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু ভাবতাম, কিন্তু সেই সময় শেষ’। গ্রিনল্যান্ডের গত ১১ মার্চের নির্বাচনে বিজয়ী দল ডেমোক্র্যাটসের নেতা জেনস ফ্রেডেরিক নিলসেন প্রতিনিধি দলের এ সফরকে ‘গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতি অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছেন।
সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। এগেডে বলেন, ‘ওয়াল্টজের উপস্থিতি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের মিশনকে উস্কে দেবে এবং আমাদের ওপর মার্কিন চাপ আরও বাড়বে’।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা চান ট্রাম্প। এমনকি ডেনমার্কের অধীনে থাকা অঞ্চলটির দখল নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডের অমূল্য খনিজসম্পদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অঞ্চলটির গুরুত্ব অপরিহার্য।
বিভিন্ন প্রলোভনের পরও গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ জনগণ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনার বিপক্ষে। গত জানুয়ারির এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮৫% মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না এবং ৫০% মনে করে ট্রাম্পের এই আগ্রহ দেখানো তাদের জন্য হুমকি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরের বিষয়ে অনেকটাই স্পষ্ট ডেনমার্কের অবস্থান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তবে সার্বভৌমত্বের মূলনীতি মেনে’।
হোয়াইট হাউস এ সফরকে ‘সাংস্কৃতিক’ সফর বলে দাবি করলেও গ্রিনল্যান্ডের নেতারা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখল পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এ সফর
এছাড়াও পড়ুন:
খোলপেটুয়ার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেনাবাহিনীর
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ও দরিদ্র ৮০০ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোর এরিয়ার আয়োজনে আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম।
মেডিকেল ক্যাম্পে আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিম দ্বারা দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়।
চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, আশাশুনি উপজেলা নিবার্হী অফিসার কৃষ্ণা রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ।
জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম এসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে বলেন, “যে কোন ধরনের দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের পাশে থাকে। এই মেডিকেল ক্যাম্পেইন তারই অংশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ জনকল্যাণ এবং স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আনুলিয়ার ভাঙন কবলিত এলাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে এখনো কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আগামীতেও বেড়িবাঁধে যে সমস্ত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেসব স্থানে বেড়িবাঁধ সংস্কারে জনগণের দাবী অনুযায়ী সেনা বাহিনীর সহযোগিতা করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। সেনাবাহিনী তো সব সময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস