বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন- তামিম ইকবাল এখন কেমন আছেন? স্বস্তির খবর হলো, তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ডাক্তারকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে।’ তামিমকে নিয়ে থাকা শঙ্কাও ধীরে ধীরে কমছে।
জানা গেছে, কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটেই এখন কিছুটা হাঁটার চেষ্টাও করছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বর্তমানে তাকে কিছু সময়ের জন্য কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর আবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সোমবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে চলছিল ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তামিম। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ককে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তামিমকে নিতে হেলিকপ্টারও আনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় পাশে থাকা কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে। এর পর ওই হাসপাতালে ফিরে গিয়ে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট (রিং) পরানো হয় তামিমের।
গুরুতর অবস্থায় দ্রুততার সঙ্গে স্টেন্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখনও কেপিজে হাসপাতালে এসে পৌঁছাতে পারেননি তামিমের পরিবারের কোনো সদস্য। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে অপারেশনের সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।
জানা গেছে, ডাক্তারদের দ্রুত এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন তামিম। স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটা সুস্থ আছেন এবং পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চোখ খুলেছেন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডাক্তারকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে।’ তবুও ডাক্তারের ভাষ্য, পরের ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে থাকবেন তিনি। জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে তামিমের কিছু পরীক্ষা করানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সন্ধ্যা বা রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে শিফট করানো হবে।
এদিন মাঠ থেকে তামিমের হার্ট অ্যাটাকের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পুরো ক্রীড়াঙ্গন। ১৯তম বোর্ড সভা স্থগিত করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমরা ছুটে যান সাভারের ওই হাসপাতালে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের নাম নেই, হতাশ বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে মঙ্গলবারের (২৫ মার্চ) ভাষণে আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি, তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপের কথা বলেননি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি।
বুধবার সকাল ৯টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি যে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি। অথচ এটাই সত্য ইতিহাস।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আবারও চাই না আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে সে ইতিহাস আবারও বিকৃত হউক। প্রকৃত সত্যকে উদঘাটিত করে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, সেই গণতান্ত্রিক সরকারে যত দ্রুত ফিরে যাওয়া যাবে আমাদের সমস্যাগুলো ততই সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এই জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, হত্যা করেছে, গুপ্ত হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করবো, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।
আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, এই নিয়ে বিএনপির মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট কথা, ডিসেম্বর থেকে জুন ৬ মাস, এটা কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলে আসছি যে, স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন, তা না হলে যে সংকটগুলো সৃষ্টি হচ্ছে এই সংকটগুলো কাটবে না। আমরা বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি না, বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থেই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কথা বলছে।
এসময় তিনি বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।