তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গীচালা এলাকার একটি নীট কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান।   

কারখানা শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, কামরাঙ্গীচালা এলাকায় ‘হ্যাগ নীট ওয়্যার’ নামের একটি কারখানা রয়েছে। সেখানে তিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ দাবির বিষয়ে কর্নপাত করছে না। আজ সকাল ৭ টার দিকে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে দেখেন কারখানার ফটকে তালা ঝুলছে। এরপর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

গাজীপুরের সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর 

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুস সেলিম বলেন, “কথা বলে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিপ্লব পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

জুলাই বিপ্লব পরিষদের আয়োজনে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা দেশের চলমান সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মত দেন। 

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আহসান উল্লাহ তুষার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যা ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব সাউদ মতিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এস এম শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য সাদিল আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রাম আরও বেগবান করতে তরুণদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান শাহনেওয়াজ ফাহাদ।

অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিলে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিশেষ দোয়া পর্বে তাদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ