আশুতোষের ব্যাটে চড়ে দিল্লির অসাধারণ জয়
Published: 25th, March 2025 GMT
তখন দিল্লির দলীয় রান ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে জিততে হলে তখনও প্রয়োজন ৮০ বলে ১৪৫ রান। এরপর অসাধারণ এক ইনিংস খেললেন দিল্লির জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামা আশুতোষ শর্মা। সেখান থেকেই জয় পায় অক্ষর প্যাটেলের দল। আইপিএলে সোমবার (২৪ মার্চ) দিনের একমাত্র ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস।
আইপিএলের মঞ্চে আশুতোষের নজর কাড়া এই প্রথম নয়। গত মৌসুমেই পাঞ্জাব কিংসের হয়ে মাঠে নেমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সুযোগ ও সমর্থন পেলে কী করে দেখাতে পারেন। পাঞ্জাব তাঁকে এই মৌসুমে ধরে রাখেনি। তাতে লাভবান দিল্লি। তারা মেগা নিলাম থেকে ৩০ লক্ষ টাকার আশুতোষকে কেনে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায়।
গতরাতে বিশাখাপত্তনমে টস জিতে লক্ষ্ণৌকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। একসময় মনে হচ্ছলি আড়াইশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে অক্ষরের দল। তবে শেষমেশ সুপার জায়ান্টসকে ২০৯ রানে আকটে রাখে দিল্লি।
আরো পড়ুন:
ঈশানের মেইডেন সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের দুর্দান্ত জয়
কোহলি-সল্টে উড়ে গেল শাহরুখের কলকাতা
৬টি চার ও ছক্কার মারে ৩৬ বলে ৭২ রান করেন মিচেল মার্শ। অন্যফিকে ৬টি চার ও ৭টি ছক্কার মারে ৩০ বলে ৭৫ করেন নিকোলাস পরান। মূলত ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুলদ্বীপ যাদবই লক্ষ্ণৌর রান বাড়তে দেননি। যদিও ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্কই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসার পর, দলগত ১১৩ রানের মাথায় হারায় ২২ বলে ৩৪ রান করা স্টাবসকেও। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২১১ রান তুলে ম্যাচ জেতে একেবারে শেষ ওভারে।
আশুতোষ দিল্লির প্রথম একাদশে ছিলেন না। তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমেই ক্রিজে ঝড় তোলেন এই ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৩১ বলে ৬৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শর্মা। এমন মারকাটারি ইনিংসে আশুতোষ ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য ট করত উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে ১৮৯ টাকা
ব্যবসায়ীদের বাড়ানো সয়াবিন তেলের দাম মেনে নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত রোববার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বাড়ল।
নতুন দাম অনুসারে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে খরচ করতে হবে ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।
বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম হবে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।
এদিকে, এই একই দাম কার্যকর করতে গত রোববার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর একদিন পরে একই দাম ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের রুমে ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে দাম বাড়ানোর কথা জানান।
এর আগে ঈদের ছুটির পর ৬ এপ্রিল ও ৮ এপ্রিল তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দুই দফা বৈঠক করা হয়েছিল। তবে ওই সময় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপর ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ১৩ এপ্রিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণার পরপর থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে জানায় সংগঠনটি।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে কেন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এটা তারা করতে পারে না। আজ দাম চূড়ান্ত হয়েছে। তারা যদি আগে ঘোষণা দেয়, সেটা বেআইনি।”
তবে এ ঘোষণার পর বৈঠকের জন্য ডাকা হয় ব্যবসায়ীদের। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তলব করে চিঠি পাঠিয়ে টিকে, মেঘনা, সিটি গ্রুপের প্রতিনিধিদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছিল। চিঠি পাঠানো হয় ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ভোজ্যতেল কারখানা মালিক সমিতির সভাপতির কাছেও। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় বৈঠক হলো। যে বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দামি মেনে দাম বাড়ানো হলো।
এদিকে, ঈদের আগে ২৭ মার্চ প্রথম নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মিল মালিকেরা। তখন বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। ওই সময় ভোজ্যতেলের কর-সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে এই দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে এর দাম কার্যকর করা বেআইনি ছিল। এখন ওই প্রস্তাবের চেয়ে কিছুটা কমিয়ে অনুমোদন দেওয়া হলো।
এপ্রিলের শুরু থেকেই কর সুবিধার সময় শেষ হওয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে চান। ওই দিন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা সংগঠনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। এরপর থেকেই সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়।
জানা যায়, গত রমজানের আগে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের ওপর যে শুল্ক-করে ছাড় দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়ায় এই দাম বাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর ঈদের ছুটি শেষে গত সপ্তাহের শুরু থেকে দফায় দফায় আলোচনা শুরু হয়। তখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকার বেশি হবে নাকি কম, তা নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা চলে।
এদিকে, কারখানার মালিকদের দাবির আগেই ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কর ছাড়ের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন। তবে এনবিআর এ বিষয়ে সায় দেয়নি।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ