জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলা হয়েছে। বিএনপির কিছু নেতাকর্মী হামলা করেছে জানিয়ে এ ঘটনায় দলটির লজ্জিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

 মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম লেখেন, “গতকাল আমার সহযোদ্ধা আব্দুল হান্নান মাসউদের উপরে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর দ্বারা যে হামলা হয়েছে এটার জন্য বিএনপির লজ্জিত হওয়া উচিত। বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী আমলে দল হিসেবে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অন্যায় এবং জুলুমের শিকার হয়েছে। অতঃপর হান্নান মাসুদের মত কিছু অকুতোভয়, আপোষহীন, সাহসী তরুণদের হাত ধরে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিএনপিসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সেই স্বৈরাচারী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে।  এই কৃতজ্ঞতাবোধটুকু বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সবসময় থাকা উচিত।”

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এজন্য তাদের দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা এবং কর্মযজ্ঞ সবচেয়ে বড় হবে এটাই স্বাভাবিক।”

“শুধু বিরোধী দল হওয়ার কারণে বিগত ১৬ বছরে বিএনপি কী কী অন্যায় অত্যাচার এবং জুলুমের শিকার হয়েছে তার একটা সারসংক্ষেপ বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের সারা দেশের নেতাকর্মীদের কাছে যাওয়া উচিত। পাশাপাশি এই ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ কী কী অন্যায়-অপকর্ম করেছে এবং দিন শেষে তাদের পরিণতি কী হয়েছে তারও একটা সারমর্ম বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের কাছে থাকা উচিত। তাহলে তাদের বর্তমান আমলনামা কোন দিকে যাচ্ছে এবং সেটার পরিণতি কী হতে পারে সেটার একটি তুলনা তারা সহজে করতে পারবে।”

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আজকে থেকে এক যুগ আগে রাজনৈতিক পরিবেশের দিক থেকে বাংলাদেশ যে জায়গায় ছিল এখন সেই জায়গায় নেই। যেটা হতে একসময় ১৫ বছর লাগতো এখন সেটা হতে এখন ৫ বছর লাগবে কিনা সন্দেহ। এই জেনারেশন এখনো সজাগ, রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং সক্রিয়। তাই বিএনপির সহযোদ্ধাদের পরামর্শ থাকবে এই সময় আর জেনারেশনটাকে আর একটু সিরিয়াসলি নেবেন।”

হামলাকারীদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসী কায়দায় অভ্যুত্থানের অন্যতম কারিগরের উপরে এই হামলা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচার চাই।”

হান্নান মাসউদের নিজ জেলা নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাহাজমারা বাজারে সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ওপর হামলা হয়। এতে করে তিনিসহ পার্টির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক ন ত কর ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তির আগে ইউক্রেন দেখে যান

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো চুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান। জেলেনস্কি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সমঝোতার আগে অনুগ্রহ করে ইউক্রেনের মানুষ, বেসামরিক লোকজন, যোদ্ধা, হাসপাতাল, গির্জা ও শিশুদের দেখে যান। খবর-বিবিসি

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরে রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৮৪ জন। রোববার সকালে দুই দফায় সুমি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলার আগে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল। 

সরকারি চ্যানেলগুলোতে হামলার ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সেখানকার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তেও দেখা গেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইহোর ক্লাইমেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ৮৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে।

হামলা নিয়ে সুমি শহরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরতেম কোবজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই উজ্জ্বল পাম সানডেতে আমাদের সম্প্রদায় এক ভয়াবহ বিয়োগান্তক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। দুঃখজনকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে ইতিমধ্যে ৩১ জন নিহত হয়েছেন।’

হামলা নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। তিনি বলেন, মানুষ যখন একটি বিশেষ দিনে গির্জায় যাচ্ছিলেন, তখন ভয়াবহ হামলায় অনেকেই হতাহত হয়েছেন।

ইউক্রেনে তিন বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই পক্ষেই লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাঁদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য। এ ছাড়া জাতিসংঘের হিসাবে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থী হিসেবে জীবনযাপন করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ