গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন প্রতিনিধিদল, নিন্দা ও ক্ষোভ নেতাদের
Published: 25th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড সফর করছে। এ ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রিনল্যান্ডের নেতারা।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পেতে অর্থ খরচের পাশাপাশি প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথাও বলেছেন তিনি। তাই বর্তমানে বিশ্বরাজনীতিতে বেশ আলোচনায় রয়েছে গ্রিনল্যান্ড।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ভ্রমণ করবেন এবং কুকুরে টানা স্লেজের প্রতিযোগিতা উপভোগ করবেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরামর্শক মাইক ওলাৎজ ও জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট।
গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে মার্কিন প্রতিনিধিদলের এ সফরকে উসকানি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখা করবে না।
এগেদে স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে বলেন, ‘কিছুদিন আগপর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারতাম। তারা আমাদের বন্ধু ও মিত্র ছিল। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। কিন্তু সে সময় পেরিয়ে গেছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছয় দফা দাবি আদায়ে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সড়ক অবরোধকারীদের মধ্যে সরকারি–বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ-টিএসসিসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
এসময় দাবি আদায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “এর আগে আমাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ করা হয়নি। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।”
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে। এছাড়া, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা