ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক পুত্রবধূ এখন টাইগার উডসের প্রেমিকা
Published: 25th, March 2025 GMT
নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কিংবদন্তি গলফার টাইগার উডস। উডসের এই নতুন সঙ্গীরও অবশ্য বিশেষ পরিচয় আছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক পুত্রবধূ। নতুন সঙ্গীর সঙ্গে দুটি ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন উডস। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাতাসে বহিছে প্রেম।’
গলফ কিংবদন্তির নতুন সঙ্গী ভেনেসা ও তাঁর মেয়ে কাই ট্রাম্পকে সম্প্রতি সান ডিয়েগোর টোরি পাইনসে দেখা দেখা গেছে। যেখানে উডস গিয়েছিলেন জেনেসিস ইনভাইটেশনাল বিজয়ীকে ট্রফি তুলে দিতে। এই টুর্নামেন্টের আয়োজকও উডস। ভেনেসার মেয়ে কাই বর্তমানে উডসের দুই সন্তান স্যাম এবং চার্লির সঙ্গে বেঞ্জামিন স্কুলে ক্লাস করতে যায়। কাই এবং চার্লি এ সপ্তাহে একটি জুনিয়র গলফ টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
আজ ব্যক্তিগত ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে নতুন প্রেমের ঘোষণা দিতে গিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেন উডস। একটা ছবিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় উডস এবং ভেনেসাকে। আর অন্যটিতে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের।
আরও পড়ুন২৭ বছরের এক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন টাইগার উডস০৯ জানুয়ারি ২০২৪এই ছবির ক্যাপশনে উডস লিখেছেন, ‘বাতাসে বহিছে প্রেম এবং আমার পাশে তোমার থাকা জীবনটাকে আরেকটু ভালো করে তুলবে। আমরা একসঙ্গে নিজেদের জীবনকে এগিয়ে নিতে চাই। এই সময়ে যাঁরা আমাদের হৃদয়ের নিকটবর্তী, আমাদের গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলব তাঁদের।’
উডস ও ভেনেসা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।