তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
Published: 25th, March 2025 GMT
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে রোববার তাঁকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এ খবরে তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। বিভিন্ন শহরে রাতভর চলা বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারের সময় ৯ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শত শত বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার রাতে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্থিরতা দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ দিন সন্ধ্যার আগেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইস্তাম্বুল সিটি হলের সামনে জড়ো হয়। তুর্কি পতাকা হাতে নিয়ে তারা দাঙ্গা পুলিশের সামনে স্লোগান দেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে এবং পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে। তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের কারণে অনেক শহরে রাস্তার জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও রোববার টানা পঞ্চম রাতেও বেশির ভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫৫টিতে বিক্ষোভ হয়েছে, যা পুরো দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। সিটি হলের সামনে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার উদ্দেশে ইমামোগলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে করা এই অবিচার প্রতিটি বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
সোমবার তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মধ্যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির একজন ফটোগ্রাফারও রয়েছেন বলে রয়টার্স জানায়।
এদিকে ইমামোগলুকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাঁর রাজনৈতিক দল সিএইচপি। সোমবার দলের একজন মুখপাত্র এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পিপলস রিপাবলিক পার্টি বা সিএইচপি একটি বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল এবং এই মুহূর্তে তুরস্কের বৃহত্তম বিরোধী দল। ৫৮ বছর বয়সী ইমামোগলু সিএইচপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক এরদ য় ন ত রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
চান্দিনায় এনজিও কর্মী নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চান্দিনায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও নারী কর্মীকে নগ্ন করে অর্থ আদায়ের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম শাওন হোসেন (২৫)। তিনি চান্দিনা পৌর এলাকার তুলাতলি গ্রামের বাসিন্দা এবং এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
শাওনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যে ঘটনার হোতা ও মামলার আরেক আসামি স্বপনের শ্বশুরবাড়ি (চান্দিনার এতবারপুর গ্রাম) থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বৈদ্যুতিক শকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৭ মার্চ ইফতারের পর তুলাতলি গ্রামে একটি এনজিওর পুরুষ ও নারী কর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালান কয়েকজন যুবক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বাঁধেন তাঁরা। এরপর ওই নারী কর্মীকে নগ্ন করে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের ‘বৈদ্যুতিক শকার’ দিয়ে শক দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই নারী কর্মীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায় করেন তাঁরা। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ঘটনাটি টের পেয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দিলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে এনজিও কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় মামলা করেন এনজিওটির পুরুষ কর্মী। ঘটনার আট দিন পর এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক মিথুন কুমার মণ্ডল জানান, ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আসামিরা। ঘটনার আট দিন পর শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।