টেন্ডুলকারের সঙ্গে বসে কী খেলেন বিল গেটস
Published: 24th, March 2025 GMT
দুজনেই দুই ভুবনের মহারথী। একজন ক্রিকেটের, অন্যজন প্রযুক্তি–দুনিয়ার। দুজনের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলেই ভিডিও তিনটি শোভা পাচ্ছে এবং ভাইরালও হয়েছে। আচ্ছা, দুই মহারথীর নাম দুটো বলে দেওয়া যাক—শচীন টেন্ডুলকার ও বিল গেটস।
আরও পড়ুনআশুতোষ–ঝড়ে লক্ষ্ণৌ না দিল্লি৩৯ মিনিট আগেমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তিন বছরের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বার ভারতে গিয়েছেন। এবার গিয়েছেন তাঁর গেটস ফাউন্ডেশনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধনকুবের এবারের ভারত সফরে দেশটির বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে টেন্ডুলকারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন গেটস। এই সফরে টেন্ডুলকারের সঙ্গে বিশেষ তিন মুহূর্তের ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তিনি। টেন্ডুলকারও তিনটি ভিডিও পোস্ট করেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে।
চার দিন আগে গেটস ও টেন্ডুলকারের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন একসঙ্গে বসে একই খাবার খাচ্ছেন। পাত্রের ওপর রাখা খাবারটি দেখতে অনেকটাই বার্গার ও স্যান্ডউইচের মতো। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, বেশ মজা করে খাচ্ছেন দুজন। ভিডিওর স্ক্রিনে লেখা, ‘সার্ভিং সুন।’ গেটসের পোস্ট করা এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘কাজে নামার আগে স্ন্যাক ব্রেক।’ তা, কাজটা কী, সেটা নিয়ে গেটস নিজের ব্লগে লিখেছেন, ‘আমি নতুন আইডিয়া নিয়ে ফিরেছি। কারণ, ভারত স্মার্ট ও উচ্চাভিলাষী মানুষে পরিপূর্ণ, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কিছু সমস্যা লোকে সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে মোকাবিলা করছে।’
আরও পড়ুন‘আমার ভাই যেন সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারে’, তামিমকে নিয়ে সাকিব১ ঘণ্টা আগেভারতের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গেটস ও টেন্ডুলকার পাশাপাশি বসে যে খাবারটি খাচ্ছিলেন, সেটি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড ‘বড় পা’। কিছুদিন আগে বিশ্বের সেরা স্যান্ডউইচের তালিকায় এ খাবারটি জায়গা পেয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী টেন্ডুলকার ও গেটসের এই ভিডিও ১০ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
তিন দিন আগে গেটস ও টেন্ডুলকারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে আরও একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, টেনিস কোর্টের এক প্রান্তে র্যাকেট হাতে গেটস সার্ভিস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্য প্রান্তে টেন্ডুলকারও র্যাকেট হাতে প্রস্তুত, তবে তাঁর প্রস্তুতি একটু অন্য রকম। র্যাকেটটি নিয়ে ব্যাটিং করার স্টান্সে দাঁড়িয়েছেন। গেটস তা দেখে বলেন, ‘ভেবেছিলাম, আমরা টেনিস খেলছি।’ রসিক টেন্ডুলকার বলেন, ‘বিল, আমি বলেছিলাম ক্রেনিস—একটু ক্রিকেট, আরেকটু টেনিস।’
টেন্ডুলকার ভিডিওটি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘খেলাধুলা আমাদের টিমওয়ার্ক শেখায়। জীবনে এটাই প্রয়োজন। ক্রেনিস মজার ছিল। তবে আসল কাজটা জমে উঠছে শচীন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন ও বিল গেটস ফাউন্ডেশনের মধ্যে।’
সেই আসল কাজটা কী—তা আজ জানা গেল টেন্ডুলকারের পোস্ট করা ভিডিওতে। গেটসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকেও একই ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, দুটি টি–শার্টে সই করছেন শচীন টেন্ডুলকার ও বিল গেটস। টেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলিও সই করেন।
সেটা যে কোনো চুক্তি, তা বোঝা গেল টেন্ডুলকারের পোস্ট করা ভিডিওর ক্যাপশনে, ‘পার্টনার ইন প্রগ্রেস—শচীন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন ও বিল গেটস ফাউন্ডেশন। এই নতুন জুটির মাধ্যমে আমরা পুষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে টেকসই অবদান রাখতে চাই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও ব ল গ টস প স ট কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন মাহি
গেল কয়েক বছরে অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন সামিরা খান মাহি। সম্প্রতি একাধিকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার। বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাহি জানান, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে তার। এরপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেম নিয়ে আবারও মুখ খুললেন মাহি। জানালেন সম্পর্ক ভাঙেনি।
সামিরা খান মাহি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার আর সাদাত সাফি নাবিলের সম্পর্ক ঠিক আছে। সব সম্পর্কেই ঝামেলা হয়, সেগুলো আবার ঠিকও হয়ে যায়। আমি কিন্তু কোথাও বলিনি, আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম শুধু যে, বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এটাকেই মানুষ ভিন্নভাবে নিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে মাহি লেখেন, ‘গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে। ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভিতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত, খুবই এলোমেলো লাগছে নিজেকে। আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত। সত্যিই আমি ভেঙে পড়েছি- আর এটা বলতে ভয় পাই না আমি।’
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়। জীবন খুব ভালো করেই দেখেছেন অভিনেত্রী। হয়তো সে কারণেই লিখেছেন, জীবন সবসময় সাজানো-গোছানো আর নিখুঁত হয় না।’