Samakal:
2025-03-26@00:51:49 GMT

ঈদের খুশি ভাগাভাগি

Published: 24th, March 2025 GMT

ঈদের খুশি ভাগাভাগি

পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়াগোপালপুর নতুনপাড়া, বিলপাড়া ও ইরকোন গেট এলাকার শতাধিক দুস্থ পরিবারের সদস্যদের প্রায় সবাই হতদরিদ্র। তাদের বেশির ভাগই শহরে বাসাবাড়িতে কিংবা মাঠে কাজ করেন। কেউ কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ভিক্ষাবৃত্তি করেও জীবিকা নির্বাহ করেন। ঈদ এলে এসব হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দের পরিবর্তে হতাশা নামে। কারণ, এসব পরিবারে নিজ থেকে ঈদের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। এই বিবেচনায় এবার ঈদে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের উদ্যোগে মানবিক আয়োজন করে শতাধিক দুস্থের মাঝে ‘ঈদ উপহার’ হিসবে নতুন শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রিপিস দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ঈশ্বরদীর সাঁড়াগোপালপুল এলাকার বিনা পয়সার পাঠশালায় এ মানবিক উদ্যোগের আয়োজন করা হয়। ঈদ উপহার দেওয়ার আয়োজন করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিট। বিনা পয়সার পাঠশালা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ। বিনা পয়সার পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের অন্যতম উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, পাতিবিল বস্তি ও সাঁড়াগোপালপুর এলাকার দুস্থদের তালিকা তৈরি করে তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিহাব উদ্দিন, পৌর ভূমি কর্মকর্তা আফছার আলী, সুহৃদ উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম বাবু, ব্যবসায়ী তানজিরুল আলম মিটো, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, আনিসুজ্জামান সোহানসহ ঈশ্বরদীর সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, ঈশ্বরদী

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিনিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে  বন্দর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাছিরা বেগমের বিরুদ্ধে । গণমাধ্যমের কাছে   এসব  অনিয়ম ও দূর্নীতি কথা জানিয়েছে অনুমোদিত ডিলার সহ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগী ।

সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে  এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ না করলেও অনুমোদিত একজন ডিলার জানান, কয়েক বছর ধরে আইন বহির্ভূত ভাবে প্রতিটা ডিলারের কাছ থেকে প্রত্যেক  ডিউ লেটার থেকে  ১ হাজার টাকা,  অফিসের সহকারীদের নামে আদায় করা হয়  ২ শত টাকা।  

গত ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে  হাসিনা দেশ ছাড়ার পর অনুমোদিত  ডিলারগন  অতিরিক্ত  ঘুষ  দিতে অস্বীকার করায়  নানা ভাবে হয়রানী সহ  প্রকাশ্যে দেন  হুমকি দমকি।  টিএসএফ এর বরাদ্দকৃত হতদরিদ্রের চালের ডিউ নিতে বিলম্বে হলেই  নানা অজুহাতে আত্মসাৎ করা হচ্ছে চাল।  এ বিষয়ে কোনো ডিলার প্রতিবাদ করলে ডিলার সিপ বাতিলের  হুমকি দেন  এই নারী কর্মকর্তা।

ধামগড় ইউনিয়ন এলাকায়  একজন  ডিলারকে নোটিশ না দিয়ে ডিলার সিপ বাতিল করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে  জজ মিয়া ও হালিম নামে দুই  ব্যাক্তিকে ডিলার সিপ বুঝিয়ে দেন।

আরো একজনকে  ঘুষ বাণিজ্য একমত প্রকাশ না করায় তার জামানত বাতিলের  হুমকি,   হাবিবুর নামে এক ডিলার সিপ বাতিল করে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যাক্তির নামে ডিলার সিপ প্রদান করে  নাসিরা আক্তার । চলতি মাসে হতদরিদ্র নামে বরাদ্দকৃত চাল মাষ্টার রুলের বাহিরে  নাসিরা আক্তার ছাত্র জনতার নামে  বেআইনী ভাবে ২৬ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেন।


এ ঘটনার  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাসিরা আক্তারের বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ জানিয়ে  ২৫-২৬ অর্থ বছরে লাইসেন্স নবায়ন না করার দাবিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন করেন অনুমোদিত ডিলারগন।  

এছাড়াও  অনৈতিক সুবিধা ভোগে যারা রয়েছে নাসিরা আক্তারের অফিস স্টাফ, কাজের বুয়া, আত্মীয়স্বজন ও সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা ও  হতদরিদ্রের মধ্যে মৃত ব্যাক্তিদের চাল নিজস্ব ক্ষমতা বলে আত্মসাৎ করেন নাসিরা আক্তার।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা  নাসিরা আক্তারের বাসভবনের গৃহপরিচারিকা  আসমা আক্তার  জানান, আমি আগে কাজ করতাম। নাসিরা ম্যাডাম  হতদরিদ্রের চালের  কার্ড করে দিয়েছেন। আমার গ্রামের  বাড়ি বরগুনা।

খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নাসিরা আক্তার জানান, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে  আপনি আগামী ২৭ মার্চ  আসেন কথা বলবো।

নারায়ণগঞ্জ  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন  বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ