নরসিংদী সদরের বৌয়াকুর চত্বর ব্যস্ততম এলাকা। ইফতার করতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ছোট-বড় গাড়িচালক, শ্রমিক ও পথচারীর সংখ্যাই বেশি। যারা এ সময় রাস্তায় থাকেন তাদের ইফতার করা নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। নানা জায়গায় ইফতারি খোঁজেন পথচারী থেকে শুরু করে ভাসমান মানুষ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নরসিংদী সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আয়োজন করে ‘পথচারীদের ইফতার বিতরণ’ কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ ও ২৫ মার্চ দুই শতাধিক পথচারী ও ভাসমান মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন– সভাপতি মো.
সুহৃদ সদস্যরা তাদের নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানে ইফতারের আয়োজন করেন। সুহৃদরা জানান, ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়ে যান এবং সাজিয়ে রাখেন। তারপর সেখান থেকে যাদের প্রয়োজন তাদের হাতে ইফতারির প্যাকেট তুলে দেন।
এর আগে সুহৃদরা এক সাংগঠনিক সভায় মিলিত হন। এতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হয়। সে অনুযায়ী পথচারী ও ভাসমান মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। v
সুহৃদ নরসিংদী
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র পথচ র ইফত র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ
সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।
মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।
আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা