রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কালজয়ী উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ নিয়ে এক বিশেষ পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ মার্চ বিকেল ৫টায় রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজার একটি রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।  অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে ইফতার করেন।
এই পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন– সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি সহসভাপতি সম্পা রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ, তাজিউর রহমান তাজ, সুহৃদ সদস্য তপু, সিহাবসহ অন্যান্য সদস্য। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপ্রেমী, শিক্ষার্থী ও সাহিত্য অনুরাগীরাও অংশগ্রহণ করেন। ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ ড.

আনোয়ার পাশা রচিত একটি অনন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ, বীরত্ব, যন্ত্রণা ও সংগ্রামের এক জীবন্ত দলিল। এই উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতা, দেশের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই, নারীর প্রতি পাশবিক নির্যাতন এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও বীরত্ব এতে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই আয়োজন প্রমাণ করে, মুক্তিযুদ্ধ কেবল অতীতের ঘটনা নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চেতনাকে গঠনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য ও ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে এবং তাদের দেশপ্রেম আরও দৃঢ় হবে। v
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের সাবেক ভিসি, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-উপাচার্য ড. সোবহান মিয়া, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত হোসেন নয়নসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার নগরীর খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি করেন কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান। মঙ্গলবার মামলার নথিপত্র আদালতে পাঠানো হলে তথ্যটি প্রকাশ পায়।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ১ মে রাতে লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে লুৎফর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর মারপিট করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীদের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে মাহদী হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থীকে মারপিট করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতটি থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন ওসি আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

মাহদী হাসানের মামলায় সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান,  বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আম্মেদ শ্রাবণ, দৌলতপুর থানার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ