দেশের প্রথিতযশা লেখক-চিন্তক-শিল্পী-গবেষকদের রচনা এবং শিল্পীদের শিল্পকর্ম ও অলংকরণে সমৃদ্ধ সমকাল ঈদসংখ্যা ২০২৫ এলো বাজারে। গতকাল সোমবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত জমজমাট ইফতারসন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.

কে. আজাদ, সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমকালের উপসম্পাদক মাহবুব আজীজ।

এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কবি ও ঔপন্যাসিক হাসনাত আবদুল হাই,      রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালিকুজ্জামান, কবি মোহন রায়হান ও কথাশিল্পী নাসরীন জাহান।

ঈদসংখ্যার লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইরাজ আহমেদ, উম্মে ফারহানা, রেজানুর রহমান, কুমার চক্রবর্তী, সেলিম জাহান, মযহারুল ইসলাম বাবলা, শামীম আমিনুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মোহিত কামাল, সুমন্ত আসলাম, শাহনাজ মুন্নী, দীপু মাহমুদ, রুমা মোদক, ইমরান খান, কিযী তাহ্‌নিন, হামিম কামাল, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ, মেহেদী উল্লাহ, মণিকা চক্রবর্তী, পিওনা আফরোজ, আবদুস সেলিম, হোসেন আবদুল মাননান, সুরমা জাহিদ, শোয়েব সর্বনাম, ফারুক মঈনউদ্দীন, শাকুর মজিদ, কামরুল হাসান, কাজী আজমিরী,  আফরোজা সোমা, আবিদ আনোয়ার, সোহরাব হাসান, নাসির আহমেদ, বিমল গুহ, তুষার দাশ, ফারুক মাহমুদ, আশরাফ আহমদ,  রেজাউদ্দিন স্টালিন, মারুফুল ইসলাম, মারুফ রায়হান, আলফ্রেড খোকন, শোয়াইব জিবরান, তুষার কবির, চঞ্চল আশরাফ, আরিফ মঈনুদ্দিন, মোশতাক আহমেদ, মতিন রায়হান, লোপা মমতাজ, ওবায়েদ আকাশ, মাহমুদ হাফিজ, শাহেদ কায়েস, রাজু আলীম, জুনান নাশিত, আহমদ জামাল জাফরী, নভেরা হোসেন, আলপনা আক্তার, পিয়াস মজিদ, অরবিন্দ চক্রবর্তী, নিজাম বিশ্বাস, নাহিদ ধ্রুব, কে এম আসাদ, মিনাক্ষী বিশ্বাস, রাগীব নাঈম, রফিক আজম, মীর সামী ও আলিফ রিফাত।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, উপসম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন, শেখ রোকনসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজন। 
ঈদসংখ্যা হাতে নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রত্যেকে সমকালের মননশীল ও ঋদ্ধ ঈদ আয়োজনের প্রতি শুভকামনা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, সমকালের ঈদ সংখ্যায় সব ধরনের লেখা থাকে। এবারও এই ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করায় সমকালকে ধন্যবাদ জানাই। 

রওনক জাহান বলেন, ‘বিদেশে থাকাকালে দেখেছি বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আলাদা কোনো আয়োজন হয় না। এ দেশে এই রেওয়াজ আছে। আমি ছোটবেলা থেকেই ঈদসংখ্যা পড়ি।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না। কয়েক দশক ধরেই মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের সংগ্রামের নির্যাস থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা পাই। একাত্তরের স্বপ্ন চেতনাকে তুলে ধরতে না পারার কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এবারের ঈদ সংখ্যায় আমার লেখা রয়েছে। এই লেখায় অনেক সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছি। আমার এক বিদেশি বন্ধু আমাকে নিয়ে একটা বায়োগ্রাফি লিখেছেন। সেই লেখা থেকেই এই সংখ্যায় লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

সমাপনী বক্তব্যে সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী বলেন, পত্রিকাকে তাড়াহুড়োর সাহিত্য বলা হয়। ঈদ সংখ্যা হলো ধীরগতির সাহিত্য। এটি প্রকাশ করা হয় পাঠকের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল ঈদ স খ য ল ইসল ম সমক ল র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।

এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।

সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।

কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।

সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।

প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।

আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।

পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চড়ক মেলায় মেতে উঠেছিল নাটোরের শংকরভাগ 
  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা
  • নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
  • হালখাতা আছে, নেই নিমন্ত্রণ
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী
  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা