লোহাগাড়ায় কাপড় কাটার কাঁচির আঘাতে জামায়াত নেতা খুন
Published: 24th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নুরুল হক (৫৩) নামের এক জামায়াত নেতাকে কাপড় কাটার কাঁচির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের কানুরাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক পেশায় পল্লিচিকিৎসক ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সজীব বড়ুয়া (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নুরুল হক কলাউজান ইউনিয়নের বলিপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। আটক যুবক একই ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া এলাকার খোকা বড়ুয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
নিহত নুরুল হক জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কলাউজান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কানুরাম বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত নেতা নুরুল হক কানুরাম বাজারের একটি চেম্বারে রোগী দেখেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি পাশের একটি গ্রাম থেকে রোগী দেখে চেম্বারে ফিরে দেখেন ফিরে দেখেন, সজীব বড়ুয়া মাদকাসক্ত হয়ে তার চেম্বারে বমি করেছেন। এতে নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে সজীবকে তাড়িয়ে দেন। এর জের ধরে সজীব পাশের একটি দরজির দোকান থেকে কাপড় কাটার কাঁচি নিয়ে নুরুল হকের মুখে উপর্যুপরি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সজীব বড়ুয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নুরুল হককে হাসপাতালে আনেন স্থানীয় লোকজন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মুখে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে ঘটনার পরপরই লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ন র ল হক এ ঘটন র একট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হল খুলে না দেওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মার্চ ফর কুয়েট’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
দাবিতে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ সিন্ডিকেট সভার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।”
তিসি আরো বলেন, “সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু করার এবং সব আবাসিক হলসমূহ আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন শিক্ষার্থী সোমবার রাতে জানান, তারা সবাই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানার জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষা করেন। তারা আশাবাদী ছিলেন, সিন্ডিকেট মেম্বাররা মিটিং শেষে তাদের আপডেট জানাবেন। মিটিং শেষ হলে তারা আপডেট জানতে চান শিক্ষকদের কাছে। কিন্তু, তারা কোনো সাড়া পাননি। এ কারণে পূর্বঘষিত কর্মসূচি অনুসারে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত হল খোলা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ