জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন
Published: 24th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যদের আহ্বায়ক কমিটিকে ৩৩ সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচবি রুহুল কবির রিজভী এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে, ১নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহম্মেদ টুটুল এবং সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ।
এবার ২৮ সদস্যরা হলেন - আজহারুল ইসলাম মান্নান, গোলাম ফারুক খোকন, লুৎফর রহমান আবদু, এড.
জানাগেছে , ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আর গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।
তার আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ম হ ম মদ গ ব এনপ র ল ইসল ম র রহম ন কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বটির কোপে স্ত্রীকে ও ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা, আদালতে জবানবন্দি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন গ্রেপ্তার ইয়াছিন আলী। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুর রহমানের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিন খুনের ঘটনায় আসামি ইয়াছিন মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডের চতুর্থ দিনে গতকাল ইয়াছিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে, তিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে সোমবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই একই পুকুর থেকে রক্তমাখা জামাকাপড়ভরা একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম বলেন, স্ত্রী লামিয়া আক্তার, ৪ বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ ও লামিয়ার বড়বোন স্বপ্না আক্তারকে ইয়াছিন একাই হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে ইট-সুরকির নিচে চাপা দেন। গত ১১ এপ্রিল দুপুরে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয় এবং ওই দিনই ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে একাই স্ত্রী সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করে। মাদকের টাকার জন্য মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে সৎ মায়ের দায়ের করা মামলায় তাকে পুলিশ ২৭ রমজান গ্রেপ্তার করে। ঈদুল ফিতরের ২ দিন আগে সে জামিনে ছাড়া পায়।
পুলিশ আরও জানায়, ইয়াছিনের স্ত্রী লামিয়া ছেলে লাবীব ও বড়বোন স্বপ্না আক্তারকে নিয়ে মিজমিজি পুকুরপাড় এলাকার আক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ইয়াছিন জামিন পাওয়ার পর গত ৮ এপ্রিল স্ত্রী বাসায় যায়। এ সময় লামিয়া ও ইয়াছিন এর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে লামিয়ার বড়বোন স্বপ্না বটি নিয়ে তেড়ে আসেন। তার কাছ থেকে বটি কেড়ে নিয়ে ইয়াছিন স্ত্রীর গলায় কোপ দিলে দেহ থেকে গলা বিচ্ছিন্ন হয়। তখন স্বপ্না আক্তার চিৎকার শুরু করলে ইয়াছিন তাকেও কুপিয়ে গলা, হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এবং ছেলে লাবীবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে লামিয়া ও স্বপ্নার বিচ্ছিন্ন মাথা ও হাত-পা বস্তায় ভরে। আর দেহ দুটি আরেকটি বস্তায় ধরে। এছাড়া ছেলের মরদেহ কম্বলে পেঁচিয়ে ফেলে। সেই তিনটি মরদেহ নিয়ে রাস্তার পাশে ইট-সুরকির নিচে চাপা দেয় ইয়াছিন।
পুলিশকে ইয়াছিন আরও জানায়, ৮ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।