নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলা হয়েছে। এতে এসসিপির পাঁচ-ছয়জন সমর্থক আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

হান্নান মাসউদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি নামধারী কিছু লোকের নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে রাত সাড়ে আটটা থেকে জাহাজমারা বাজারে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এনসিপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পাটির হাতিয়া প্রতিনিধি মো.

ইউছুফ জানান, সন্ধ্যার পর তাদের পূর্ব নির্ধারিত পথসভা ছিল জাহাজমারা বাজারে। সেখানে যথাসময়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এ সময় ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ এসে আব্দুল পথসভায় হামলা চালায়। এই ঘটনার জন্য তারা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।

এ বিষয়ে জাহাজমারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশান বলেন, সন্ধ্যার আগে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক অব্দুর রবকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এর প্রতিবাদে জাহাজমারা বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে গেলে আব্দুল হান্নান মাসউদের পথসভার সামনে পড়ে। এতে সামান্য উত্তেজনা দেখা দেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আব্দুল হান্নান মাসউদ তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের নিয়ে তার পথসভায় হামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে জাহাজমারার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাব। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প দ ল হ ন ন ন ম সউদ হ ন ন ন ম সউদ র র পথসভ ত কর ম ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রীষ্মের বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির কৃষ্ণচূড়া

ঋতুচক্রে প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। সেই গ্রীষ্মের বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির কৃষ্ণচূড়া। কাঠফাটা রোদ্দুরকে যেন সহনীয় করে দেয় কৃষ্ণচূড়া!

গ্রামবাংলার নানা প্রান্তে প্রকৃতিতে রং ছড়াচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া। তবে শুধু গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেই নয়, ইট-পাথরের নগরেও দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের কয়েকটি এলাকা ঘুরে আগুনরঙা হয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুটে থাকতে দেখা গেছে।

জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কুমিল্লার পরিবেশ ও কৃষি সংগঠক মতিন সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা ফুলপ্রেমী মানুষ, তাঁদের কাছে কৃষ্ণচূড়া বেশ পছন্দের ফুল। বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও সংগীতে এসেছে এই ফুলের কথা। শুধু কবি–সাহিত্যিক নয়, কুমিল্লার পথচারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া।

কুমিল্লা নগরের ধর্মসাগরপাড়, নগর উদ্যান, বাদুরতলা, অশোকতলা, হাউজিং এলাকা, রানির দিঘির পাড়, জেলা স্কুল রোড, চর্থা, উনাইসার, বিমানবন্দর এলাকা, দিশাবন্দ, ছোট ধর্মপুর এলাকা এবং জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমবেশি দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচলের সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী এলাকা, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার, মিরশ্বান্নি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য চোখে পড়ছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রীষ্মকাল শুরুর আগে থেকেই কৃষ্ণচূড়া ফুলটি ফুটতে শুরু করে। নানা জাতের পাখির আনাগোনা বাড়তে থাকে গাছটিকে ঘিরে। বিশেষ করে জাতীয় পাখি দোয়েল, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুল পাখির সরব উপস্থিতি থাকে সারা বেলা। শরীরে রক্তিম আভা মেখে কৃষ্ণচূড়া সারাক্ষণ সবুজ বনভূমি–তৃণভূমিকে আলোকিত করে রেখেছে। কৃষ্ণচূড়ার তুলনা শুধু কৃষ্ণচূড়াই। রঙে, রূপে, উজ্জ্বলতায় ও কমনীয়তায় কোনো কিছুই যেন কৃষ্ণচূড়ার সমকক্ষ নয়।

মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, বসন্তের শেষ দিকে সাধারণত কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে পত্রহীন বাঁকানো ডালগুলোতে দেখা যায় কলির আভাস। অন্যান্য ফুল গাছে যখন নতুন পাতা আসে, কিন্তু ফুল আসে না; ঠিক তখনই কৃষ্ণচূড়ার সব পাতা ঝরে গিয়ে ফুলের কলি দেখা দেয়। আর গ্রীষ্মের শুরুর সময়টাতে দেখা যায় লালের আভাস।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া ফোটার এই সময়টা তাঁর অন্য রকম ভালো লাগে। এ ভালো লাগার কথা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ