যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ- ১ শাখার উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার তাঁকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। 

৫ আগস্ট গণআন্দোলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রেজাউল মাকসুদ জাহেদীকে যুগ্ম-সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের অতিরিক্ত সচিব করা হয়। এরপর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স থ ন য সরক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকছে না আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ থাকছে না। শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ রাখা বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তা ছিল। কিন্তু এখন এই চিন্তা থেকে সরে আসা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ (তারা এটাকে ভাস্কর্য বলছেন না) নিয়ে প্রাথমিক স্কেচ হয়েছিল। এর মাধ্যমে আবু সাঈদের বীরত্বকে তুলে ধরার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কেউ কেউ চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আবু সাঈদের পরিবার চাইছে না, তাই এ বিষয়ে অনেকের চিন্তা থাকলেও সেখান থেকে সরে আসা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার আজাহারুল ইসলাম বলেছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য। আরও থাকবে একটি করে বাঘ, পাখি ও স্বৈরাচারের প্রতীকী ভাস্কর্য। আর অনেক মুখোশ থাকবে। নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে, না পরিবর্তন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে আরও সময় আছে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ