বাব্বর পরিবারের অন্দরমহলে সমস্যা চলছিল বহুদিন ধরেই। সম্পর্কে ধরেছিল চওড়া ফাটল। তবে তা প্রকাশ্যে আসে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিনেতা প্রতীক বাব্বরের বিয়ের দিন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাঁদনাতলায় বসেছিলেন প্রতীক।

আরও পড়ুনপ্রতীক ও প্রিয়ার আংটিবদল১৩ জানুয়ারি ২০২৪

তবে এই বিশেষ দিনে নিজের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। বাবা রাজ বাব্বর, সৎভাই আর্য ও সৎবোন জুহি বাব্বরকে যে আমন্ত্রণ জানাননি প্রতীক, সে খবরে আগেই সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ আর্য। জানিয়েছিলে, ছয় মাস যাবৎ বাব্বর পরিবারের মধ্যে সমস্যা চলছে; প্রতীক কেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে তাঁর পরিবারকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন, তার কারণ তিনি জানেন না। তবে এবার কফিনে আরও একটি পেরেকটি গেঁথে দিলেন প্রতীক। নিজের নাম থেকে বাব্বর পদবি ছেঁটে ফেললেন তিনি! নাম বদলে রাখলেন প্রতীক স্মিতা পাতিল! খবর বলিউড বাবলের

নিজের প্রয়াত মা তথা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের নাম নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নিলেন প্রতীক। কেন এ রকম করলেন তিনি? অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নাম ও পরিচয়ের সঙ্গে কেবল নিজের মাকেই জড়িয়ে রাখতে চান; বাবাকে নয়। তাই এ সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি স্পষ্ট করে এ–ও জানিয়ে দেন, তাঁর এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলাফল কী হবে, সেসব নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।

প্রতীকের কথায়, ‘আমি খুব বেশি গভীরে গিয়ে কিছু ভাবিনি। সেটাই করেছি, যা আমার হৃদয়কে শান্তি দিয়েছে। এই নামবদলের সিদ্ধান্ত আমার ক্যারিয়ারে যদি কোনো কুপ্রভাবও ফেলে তো ফেলবে, কিছু যায়–আসে না।

প্রতীক বাব্বর। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র পর ব ব ব বর

এছাড়াও পড়ুন:

নাগরদোলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত স্বামী আ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাকী বেগম (২০) নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাগরদোলায় উঠিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে।  
 
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিউদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত লাকী বেগম একই উপজেলার কালাপোল এলাকার বেদে পল্লীর মনসুর আলীর মেয়ে।  আটক স্বামী মো. সাকিব সদর উপজেলার মান্নান নগর বেদে পল্লী পাড়ার মো. মঙ্গলের ছেলে।    

নিহত লাকীর মা শেফালী বেগম জানান, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে জেলার সদর উপজেলার মান্নান নগরের বেদে পাড়ার মঙ্গলের ছেলে সাকিবের সাথে লাকীর বিয়ে হয়। লাকী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত পনের দিন আগে সে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসে। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব তার স্ত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন ভেঙে ফেলে এবং নিজের মাথা নিজেই ফাঁটিয়ে ফেলে। 

সোমবার সন্ধ্যার পরে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী এক সাথে নাগরদোলায় উঠে।  

শেফালী বেগমের অভিযোগ, নাগরদোলায় চড়াকালীন সাকিব তার মেয়ে লাকীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লাকীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

লাকীর বাবা মনসুর আলী বলেন, “সাকিব মাদকাসক্ত ছিলো। কথায় কথায় লাকীকে নির্যাতন করতো। আমাদের ঘরে এসেও মেরেছে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, “অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সুজন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ